নয়াদিল্লি: কঠোর হাতে নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা করে বিপুল জনসমর্থনের জোয়ারে ক্ষমতায় ফেরা নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্নকে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জেসিন্ডার জয়কে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে। প্রতিপক্ষ রক্ষণশীল শিবির ন্যাশনাল পার্টিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে তাঁর উদারপন্থী লেবারেল পার্টি। তারা পেয়েছে মোট ভোটের ৪৯ শতাংশ। ন্যাশনাল পার্টি ২৭ শতাংশ ভোট। জয়ের ব্যবধান প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেসিন্ডা। লেবার পার্টি পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে। ২৪ বছর আগে নিউজিল্যান্ডে আনুপাতিক ভোটিং সিস্টেম চালু হওয়ার পর এমনটা এই প্রথম। অতীতে মিলিজুলি সরকার দেশ চালিয়েছে। এবার লেবার পার্টি একাই সরকার চালাতে পারবে।

জেসিন্ডাকে পাঠানো ট্যুইট-বার্তায় মোদি লিখেছেন, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্নকে তাঁর বিপুল জয়ের জন্য আমার আন্তরিক অভিনন্দন। এক বছর আগে আমাদের শেষ সাক্ষাতের কথা মনে পড়ছে। ভারত-নিউজিল্যান্ড সম্পর্ককে আরও উঁচুতে তুলে নিয়ে যেতে একযোগে কাজ করার অপেক্ষায় রইলাম।
দ্বিতীয়বার জয়ের পর জেসিন্ডা রবিবারই দাবি করেন, তিনি মনে করছেন, করোনাভাইরাস নির্মূল ও অর্থনীতি চাঙ্গা করতে তাঁর সরকারের প্রয়াসের প্রতি দেশবাসীর বিপুল সমর্থনই নির্বাচনী সাফল্যে প্রতিফলিত হয়েছে। নিজের অকল্যান্ডের বাসভবনের কাছে এক কাফেতে হাজির হয়ে তিনি তিন সপ্তাহের মধ্যেই নতুন সরকার গড়ার আশা করছেন, ভাইরাস মোকাবিলায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করবেন বলেও জানান। বলেন, নতুন টিম হিসাবে যে কাজ করা প্রয়োজন, দ্রুত সেগুলি নির্ধারণ করছি আমরা।
গত মার্চের শেষে কঠোর হাতে লকডাউন কার্যকর করে করোনাভাইরাসের বিস্তার সাফল্যের সঙ্গে রুখে দেওয়ায় চড়চড় করে বেড়েছে জেসিন্ডার জনপ্রিয়তা। নিউজিল্যান্ডে এপর্যন্ত কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা ২ হাজারের কম, মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের।