লখনউ : অতিমারি পরিস্থিতিতেও সক্রিয় রয়েছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি চক্র। আধার যুক্ত পেমেন্ট সিস্টেম(এক্ষেত্রে গ্রাহক তাঁর আধারের তথ্য ব্যবহার করে নিজের আধার যুক্ত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সাধারণ ব্যাঙ্কিং লেনদেন করতে পারেন) ব্যবহার করে এক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩০ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল।
অজয় কুমার শ্রীবাস্তব। লখনউয়ের গোমতি নগর এলাকার বিরাট খন্দ এলাকার বাসিন্দা। ওই এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
তিনি পুলিশকে লিখিত দিয়ে জানিয়েছেন, দুষ্কৃতী/দুষ্কৃতীরা ১৯ মার্চ প্রথম ধাপে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা তুলে নেয়। এরপর ৮ মে ও ৯ মে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে ১০ হাজার টাকা করে তোলা হয়। শেষের দুটি ধাপে মাসের দ্বিতীয় শনি ও রবিবার টাকা তোলা হয়েছে। ওই দুই দিন ব্যাঙ্কে ছুটি থাকে।
এভাবে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ায় স্তম্ভিত হয়ে যান অজয়। তিনি লেনদেন না করা সত্ত্বেও কীভাবে টাকা তোলা হল তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। তড়িঘড়ি তিনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁদের বিষয়টি জানান। ব্যাঙ্ক আধিকারিক রেকর্ড ঘেঁটে জানান, আধার যুক্ত পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার(AEPS) করা হয়েছে।
আর দেরি না করে পুলিশের দ্বারস্থ হন অজয়। ঘটনায় FIR দায়ের হয়। গোমতি নগরের স্টেশন হাউস অফিসার কেশব কুমার তিওয়ারির নেতৃত্বে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ সুপার(উত্তরপ্রদেশ সাইবার সেল) ত্রিবেণী সিং বলেন, ফিঙ্গার প্রিন্ট ক্লোন করে AEPS-এর মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে। এই লেনদেনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচিংয়ের জন্য আধারধারীর শারীরিক উপস্থিতি প্রয়োজন। মনে হচ্ছে, এক্ষেত্রে প্রতারকরা আধার কার্ড ডাউন লোড করে ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্টের ব্যবস্থা করেছে। এরপর রাবারে টিপ সইয়ের জন্য থার্মাল স্ক্যানার, বাটার পেপার, আয়না, পাতলা জেল, আটা এবং ইমেজ বুস্টার রাসায়নিক ব্যবহার করেছে। তারপর NPCI ও UIDAI-এর সঙ্গে যুক্ত বায়োমেট্রিক মেশিনের স্ক্যানারে এই ক্লোনড ফিঙ্গারপ্রিন্ট রাখা হয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ করে যাওয়ায় অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয় প্রতারকরা।
প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গাইডলাইন অনুযায়ী, AEPS ব্যবহার করে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে তোলা যেতে পারে।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। শীঘ্রই অভিযুক্ত বা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।