দুবাই : 'সোনার বিরিয়ানির' পর এবার 'সোনার আইসক্রিম'। দুবাইতে চলছে দামী খাবারের 'প্রতিযোগিতা'। ক'দিন আগেই ২০ হাজার টাকার বিরিয়ানির খবর শুনে চোখ কপালে উঠেছিল বিশ্ববাসীর। এবার রক্তচাপ বাড়াতে এল ৬০ হাজার টাকার আইসক্রিম।


এমনিতেই বিলাসবহুল জীবনযাত্রার আরেক নাম দুবাই। ব্যায়বহুল জিনিসের সঙ্গে এখন সেখানে পাল্লা দিচ্ছে দামী খাবার। সম্প্রতি ৬০ হাজার টাকার আইসক্রিম এনেছে দুবাইয়ের এক রেস্তোরাঁ। 'স্কুপি ক্যাফে' নামের এই রেস্তোরাঁ ঘিরে এখন কৌতূহলের অন্ত নেই। ক্যাফে কর্তৃপক্ষের দাবি, দুবাইয়ের সবথেকে দামী আইসক্রিম তৈরি করেন তারা।


কী বিশেষত্ব রয়েছে এই আইসক্রিমে ?


দুবাইয়ের সবথেকে দামী আইসক্রিম তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় ম্যাডাগাসকর ভ্যানিলা।সঙ্গে মেশানো হয় ইটালিয়ান ট্রাফলস। ৬০ হাজারি এই ভ্যানিলা আইসক্রিমের ওপরে ছড়ানো হয় ইরানের জাফরান। সবশেষে আইক্রিমের ওপরে দেওয়া হয় ২৩ ক্যারেট গোল্ড ফ্লেকস। যা মূল্যবান থেকে নিমেষে মহামূল্যবান করে তোলে আইসক্রিমকে।


এখানেই শেষ নয়। বিশ্বের অন্যতম নামি ডিজাইনার ব্র্যান্ড ভরসাচের পাত্রে পরিবেশন করা হয় সেই আইসক্রিম। 'সোনার আইসক্রিম' খাওয়ার জন্য দেওয়া হয় রূপোর চামচ। কিছুদিন আগেই এই দামী আইসক্রিমের স্বাদ নেন অভিনেত্রী তথা ট্রাভেল ব্লগার শেহনাজ ট্রেজারি। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে সেই ছোট্ট ক্লিপ শেয়ার করেন তিনি। নীচে শেহনাজ লেখেন, ''এমন একটা জিনিসের নাম বলুন যেটা টাকা দিয়ে কেনা যায় না। আইসক্রিমের জন্য ৬০ হাজার টাকা ব্যায়।সোনা খাচ্ছি। এটা একমাত্র দুবাইতেই সম্ভব।'' 


তবে এই প্রথমবার নয়। বরবারই দামী খাবারের উদ্ভাবন জারি রেখেছে দুবাইয়ের স্কুপি ক্যাফে। ৬০ হাজারি আইসক্রিম ছাড়াও তাদের মেনুতে রয়েছে সোনার কাপুচিনো কফি ছাড়াও গোল্ড বার্গার। এ সবই ২৩ ক্যারেট গোল্ড ফ্লেকস দিয়ে তৈরি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বলছে, বিশ্বের সবথেকে দামী 'ডেজার্ট' ফ্রোজেন হট চকোলেট। নিউ ইয়র্কের সেরন্ডিপিটি ৩ রেস্তরাঁয় পাওয়া যায় এই ডেজার্ট। যার মূল্য ২৫,০০০ ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় ১৮ লক্ষ টাকা।