ঋত্বিক প্রধান, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী: মায়ের আশীর্বাদ রয়েছে, করোনা কিস্যু করতে পারবে না। এগরায় মনসা পুজোর অনুষ্ঠানে এভাবেই করোনাভাইরাসকে উড়িয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপের এমন মন্তব্যে তাদের ভোট বাড়বে, দাবি করেছে তৃণমূল।


নোভেল করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। মারণ ভাইরাসকে বাগে আনতে ঘুম ছুটেছে চিকিৎ‍সকদের। বিজ্ঞানীরাও যখন উপযুক্ত প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেননি, তখন করোনা আটকানোর উপায় বাতলে দিলেন দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় মনসা পুজোর মেলায় গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেখানে বলেন, সারা দুনিয়ায় করোনাভাইরাস এসেছে, ভয়ে কোটি কোটি মানুষ ঘর থেকে বার হতে পারছে না। যারা চাঁদ-সূর্যে পৌঁছে যাচ্ছে তারা ঘর থেকে বার হতে পারছে না। কিন্তু আমাদের দেখুন, হাজার হাজার মানুষ মায়ের প্রার্থনা করতে আসছেন। ওই জল খাচ্ছেন, ওই হাতে প্রসাদ খাচ্ছেন, কিছু হবে না, মায়ের আর্শীর্বাদ আছে।

দিলীপ ঘোষের এমন মন্তব্যের পর দানা বেঁধেছে বিতর্ক। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বলেছেন, দিলীপ এখন বাবাকে ছেড়ে মাকে ধরেছেন। দলবদল করলেন নাকি? দিলীপের এই তত্ত্ব হাসির খোরাক। বারবার এমন কথা বলছেন আমরা খুশি। যত বলবেন আমাদের ভোট বাড়বে।

এবারই প্রথম নয়, এর আগে গরুর দুধে সোনার অস্তিত্ব দাবি করে বিতর্ক উস্কে দেন দিলীপ।

করোনা আতঙ্কে হোলি উৎ‍সবে অংশ নেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বাতিল করেছেন বাংলাদেশ সফর। অথচ পূর্ণ আত্মবিশ্বাসে করোনা মোকাবিলার উপায় বাতলাচ্ছেন তাঁরই দলের নেতা-নেত্রীরা। অসমের বিজেপি বিধায়ক সুমন হরিপ্রিয়া যেমন। তিনি বলেছেন, আমরা সবাই জানি, গোবর অত্যন্ত উপকারী। কোনও জায়গা শুদ্ধ করতে গোমূত্র ছড়ানো হয়। আমার মনে হয় একইভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সারাতে গোবর এবং গোমূত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। কয়েক ধাপ এগিয়ে গোমূত্র পার্টি আয়োজনেরও ঘোষণা করেছেন হিন্দু মহাসভার সভাপতি চক্রপাণি মহারাজ।