নয়াদিল্লি: মোদি (Narendra Modi) ম্য়াজিক আর শিবরাজের (Shivraj Singh Chouhan) ক্যারিশ্মা- দুইয়ের উপর ভর করেই মধ্যপ্রদেশে (Madhya pradesh Election) বাজিমাত করেছে বিজেপি (BJP)। এটা ভেবে নেওয়াই হয়েছিল যে ফের মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন শিবরাজ সিংহ চৌহান। কিন্তু সব হিসেব উল্টে দিয়ে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh CM)র মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে এবার বসতে চলেছেন মোহন যাদব (Mohan Yadav)। সোমবার একটি বৈঠকে বিজেপির বিধায়করা মিলে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বেছে নেন বিদায়ী শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মোহন যাদবকে। উজ্জয়িনী দক্ষিণের বিধায়ক মোহন যাদব এই নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বিধায়ক হয়েছেন।
কিন্তু কে এই মোহন যাদব?
জাতীয় স্তরে সেই অর্থে পরিচিতি না থাকলেও মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে বড় মুখ মোহন যাদব। মধ্যপ্রদেশ বিজেপির বড় ওবিসি মুখ তিনি। সোমবার তাঁর নাম ঘোষণা করা হলেই তাঁকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের পা স্পর্শ করতে দেখা যায়। তখনই শিবরাজ সিংহ তাঁর মাথায় হাত রেখে তাঁকে আশীর্বাদ করেন। ২০২০ সালে তাঁকে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, ২০২৩ সাল পর্যন্ত সেই দায়িত্বেই ছিলেন তিনি। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে চলেছেন পিএইচডি প্রাপ্ত মোহন যাদব।
বিজেপি (BJP Government) সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলা মোহন যাদব গেরুয়া শিবিরের বহু পুরনো কর্মী। প্রায় ৫৮ বছর বয়সী মোহন যাদব ১৯৮৪ সালে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে যোগদান করেছিলেন। তখন থেকে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সদস্য়ও তিনি। ২০১৩ সালে উজ্জয়িনী দক্ষিণ কেন্দ্রে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন। তারপর থেকে এই কেন্দ্রেই দাঁড়িয়েছেন- এই নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বিধায়ক হয়েছেন তিনি। এই বারের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী চেতন প্রেমনারায়ণ যাদবকে প্রায় ১৩ হাজার ভোটে পরাজিত করেছেন তিনি। এর আগে ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত উজ্জয়িনী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি মধ্যপ্রদেশ রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে কখনও নাম শোনা যায়নি মোহন যাদবের। শিবরাজ সিংহ চৌহান থেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মতো হেভিওয়েট নেতাদের সরিয়ে যেভাবে মোহন যাদবকে বেছে নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বেশ চমকেছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: কীভাবে এল ৩৭০ ধারা? কোন পথে বাতিল? রইল ৭ দশকের খুঁটিনাটি