ভোপাল: মান ভাল হওয়া সত্ত্বেও মিলছে না ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (Minimum Support Price)। ক্ষোভে মান্ডির মধ্যেই নিজের ফলানো রসুন পুড়িয়ে দিলেন এক কৃষক। মান্ডির মধ্যে দাঁড়িয়ে প্রায় ১৬০ কেজি রসুন জড়ো করে আগুন (Farmer Burns Garlic) ধরিয়ে দেন তিনি। পাইকারি ব্যবসায়ীদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গিয়েছে।


কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি আইন প্রত্যাহার করার পর আন্দোলনকারী কৃষকরা যখন একে একে ঘরে ফিরে গিয়েছেন, সেই সময় মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী ভোপাল থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে, মন্দসৌরের মান্ডিতে নিজে হাতে ফলানো রসুন পুড়িয়ে দেন শঙ্কর সিরফিরা। তিনি দেওলি থেকে রসুন বয়ে নিয়ে মান্ডিতে (Mandi) এসেছিলেন।


মান্ডিতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাক একটি ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, একদিকে দাউদাউ করে জ্বলছে রসুন। অন্য দিকে, চিৎকার করে ‘জয় জওয়ান জয় কিষাণ’ (কৃষক দীর্ঘজীবী হোন) ধ্বনি দিচ্ছেন শঙ্কর।



আরও পড়ুন: রাস্তায় গর্ত, স্পিডব্রেকার, আগেভাগে সতর্ক করবে 'মুভ', নয়া অ্যাপ কেন্দ্রের


আচমকা এই ঘটনায় হতবাক হয়ে যান মান্ডিতে উপস্থিত ব্যবসায়ী এবং বিক্রেতারা। সম্বিত ফিরে পিয়ে আগুন নেভাতে তৎপর হয়ে ওঠেন তাঁরা। তবে তত ক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমে শঙ্কর বলেন, “রসুন বয়ে মান্ডিতে আনতেই ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অথচ দাম পাচ্ছিলাম মাত্র ১ হাজার ১০০ টাকা। ওই দামে বিক্রি করার চেয়ে রসুন পুড়িয়ে দেওয়াই উপযুক্ত মনে হয়েছিল আমার।” শঙ্কর জানান, চলতি মরসুমে রসুন চাষ করতে আড়াই লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে তাঁর। কিন্তু মাত্র ১ লক্ষ টাকাই ঘরে এসেছে।


এই ঘটনায় শঙ্করকে ওয়াইডি নগর থানায় নিয়ে যান মান্ডির লোকজন। থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার সংবাদমাধ্যমে জানান, আগুনে অন্য কারও ক্ষতি হয়নি। তাই শঙ্করের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি তাঁরা।


তবে এই প্রথম নয়, ফসলের ন্যায্য দাম না পেয়ে এর আগে অগাস্ট মাসে মহারাষ্ট্রের নাসিকে বস্তা বস্তা টমেটো পুড়িয়ে দিতে দেখা যায় কৃষকদের।


টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলনের পর সম্প্রতি কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (MSP) প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্র। তবে এখনও পর্যন্ত তার বাস্তবায়ন হয়নি।