Madhya Pradesh News: মান এবং হুঁশ রয়েছে যাঁর, তিনিই মানুষ। তবে সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা সামনে এসেছে যা দেখে একটা প্রশ্ন ঘুরছে সকলের মনে, 'মানুষ কীভাবে এতটা মনুষ্যত্বহীন হতে পারে?' মধ্যপ্রদেশের আগর মালওয়া জেলায় ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। শুধু আশপাশের মানুষের অবহেলার জন্য মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন বছর ৪৫- এর এক ব্যক্তি। একটি দোকানের সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে এক সাংঘাতিক মুহূর্ত। সেখানে দেখা গিয়েছে, বুকে হাত চেপে চেয়ারে বসে পড়েছেন দোকানের এক কর্মী। বোঝাই গিয়েছে তাঁর বুকে তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছে। অথচ তার থেকে মাত্র কয়েক হাত দূরে আরেকটি চেয়ারে বসে মোবাইল ঘাঁটছিলেন দোকানদার। কর্মীর শারীরিক অবস্থার যে এত অবনতি হচ্ছে, সেদিকে ভ্রূক্ষেপই নেই তাঁর। 

Continues below advertisement

যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তাঁর নাম রফিক খান। সাসনের জেলার একটি দোকানে এই ঘটনা ঘটেছে। সিসি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, কাজ করতে করতে ওই কর্মী আচমকা বুকে হাত চেপে বসে পড়েছেন। মিনিট ৬ ধরে মারাত্মক কষ্ট পেয়েছেন তিনি। শ্বাস নিতে খুবই কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে আশপাশে থাকা একজন ব্যক্তিও এগিয়ে আসেননি রফিককে সাহায্য করার জন্য। না দোকানের মালিক, না অন্যান্য কোনও লোক। ফোন দেখতে মগ্ন ছিলেন দোকানের মালিক। অন্যান্যরাও ব্যস্ত ছিলেন নিজেদের মতো। পরে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।                          

মৃতের পরিবার ন্যায়ের দাবি জানিয়েছে। যুবকের এ হেন মৃত্যুতে বিধ্বস্ত তার পরিবার। ন্যায়ের দাবিতে মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয়দের মধ্যে থেকে প্রায় ১০০ লোক থানার সামনে জড়ো হয়েছিলেন। এই ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলতে নারাজ। বরং এটা অপরাধ বলেই মানছেন তাঁরা। মনুষ্যত্ব হীনতার কারণেই এই অঘটন ঘটেছে বলে দাবি জানিয়েছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। রফিক খানের পরিবারের অভিযোগ, ক্ষমতার বাইরে গিয়ে ভারী জিনিসপত্র তুলতে বাধ্য করা হত রফিককে। দোকান মালিক এবং তাঁর ছেলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। এই কারণেই হার্ট অ্যাটাক হয়েছে রফিকের।                            

Continues below advertisement