নয়াদিল্লি : বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫ শেষ হয়েছে গত বুধবারই। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে প্রায় ৪৫ দিন ধরে চলে এই মেলা। এবার মহাকুম্ভে জমায়েত করেন প্রায় ৬৬ কোটি ভক্ত। যা এক অর্থে নতুন রেকর্ড। গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীয় সঙ্গম ত্রিবেণী সঙ্গমে বহু পুণ্যার্থী সেরেছেন পুণ্যস্নান। এটা বলা হচ্ছে যে, কুম্ভমেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা প্রায় ৩৪ কোটির দ্বিগুণ তীর্থযাত্রীর জমায়েতের আয়োজন করা হয়েছে।


পরবর্তী কুম্ভমেলা কবে, কোথায় ?


পরবর্তী কুম্ভমেলা আয়োজিত হবে ২০২৭ সালে। মহারাষ্ট্রের নাসিকে। ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে ত্রিমবকেশ্বরে। যা নাসিক থেকে প্রায় ৩৮ কিলোমিটার দূরে। এই শহরটি গোদাবরী নদীর তীরে অবস্থিত। যা দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। ১২ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম ত্রিমবকেশ্বর শিব মন্দির এখানে। রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৭ সালে কুম্ভমেলা আয়োজিত হবে ১৭ জুলাই থেকে ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে নাসিক কুম্ভমেলা ঘিরে নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মহারাষ্ট্র্রে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। মুম্বইয়ে NASSCOM Technology and Leadership Forum 2025-এ বক্তব্য রাখার সময় একথা জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, পবিত্র জলে যাঁরা স্নান করতে পারবেন না তাঁদের ভার্চুয়ালি বন্দোবস্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে প্রযুক্তি। Kumbh Mela 2027 Maharashtra Nasik


কেন মাত্র ৩ বছরের মাথায় পরবর্তী কুম্ভমেলা ?


কুম্ভ মেলা দেশের চার শহরে আয়োজিত হয়- প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, নাসিক ও উজ্জৈনে। অন্তত একটি তিন বছর অন্তর করতেই হয়। প্রতি চার বছর অন্তর যেটা আয়োজিত হয় তাকে কুম্ভমেলা বলে। অন্যদিকে, প্রতি ছয় বছর অন্তর যে মেলা আয়োজিত হয় তা অর্ধ কুম্ভমেলা। প্রতি ১২ বছর অন্তর যে মেলা বসে তাকে বলা হয় পূর্ণ কুম্ভ মেলা। সদ্য শেষ হওয়া মেলা হচ্ছে মহা কুম্ভমেলা। যা হয় ১৪৪ বছর অন্তর। 


এবার প্রয়াগরাজে আয়োজিত মহাকুম্ভ মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা তো বটেই, বিদেশ থেকেও অনেকে যোগ দিতে আসেন। পুণ্যস্নান সেরে গেছেন দেশের অনেক ভিআইপিও। মহাকুম্ভে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, শিল্পপতি মুকেশ অম্বানি - গৌতম আদানিরা। অক্ষয় কুমার, ভিকি কৌশল, ক্যাটরিনা কইফের মতো বলিউড শিল্পীরাও কুম্ভস্নান সারেন। ধর্মীয় এই সমাবেশে ৭৭টি দেশের কমপক্ষে ১১৮ কূটনীতিক শামিল হন।