প্রয়াগরাজ : মাত্র দুইদিন আগে মহাকুম্ভে স্নান করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। মৌনি অমাবস্যার বিপর্যয়ের পর কুম্ভমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করাও হয়েছিল। কিন্তু তারই মধ্যে ঘটে যাচ্ছে একটার পর একটা অঘটন। ফের অগ্নিকাণ্ড মহাকুম্ভে।
মৌনি অমাবস্যায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু, বসন্ত পঞ্চমীতে বেলুন দুর্ঘটনায় ঝলসে যাওয়ার পর আবারও অগ্নিকাণ্ড মহাকুম্ভে। আগুন লাগল মহাকুম্ভর সেক্টর ১৮ -তে । এখানেই হরিহরানন্দ ক্যাম্পে আগুন লাগে। দমকলের চেষ্টায় আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে বলেই খবর।
শুক্রবার বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন অসংখ্য পুণ্যার্থী। শুক্রবার তখন সকাল ১১টা। হঠাৎ করেই, আগুন লাগে শঙ্করাচার্য মার্গের ১৮ নম্বর সেক্টরে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় মহাকুম্ভের আকাশ। দ্রুত খালি করে দেওয়া হয়েছে একাধাকি আখড়া। আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য লড়াই শুরু করেন দমকলকর্মীরা। কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এর আগে সোমবার ছিল বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে ছিল অমৃতকুম্ভে শাহিস্নানের পুণ্যতিথি। পদপিষ্ট থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রশাসন সতর্ক থাকলেও এড়ানো যায়নি দুর্ঘটনা। সোমবার সকালে প্রয়াগরাজের সেক্টর ২০-তে আখড়া মার্গের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মাটি থেকে কিছু ওপরে উঠেই হিলিয়াম গ্যাস ভর্তি একটি এয়ার বেলুন ফেটে যায়। বেলুনের বাস্কেট থেকে মাটিতে আছড়ে পড়েন ৬ পুণ্যার্থী। মারাত্মকভাবে পুড়ে যায় প্রত্যেকের শরীর।
তার আগে মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে স্নান শুরুর আগে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে বহু লোকের মৃত্যু হয় মহাকুম্ভে। সরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা ৩০ বলা হলেও, সংখ্যাটা আরও বেশি বলেই দাবি প্রত্যক্ষদর্শী ও বিজোপি-বিরোধীদের। ঘটনায় আহত হন শয়ে শয়ে পুণ্যার্থী। বহু মানুষ নিখোঁজ হয়ে যান। মৃতের তালিকায় রয়েছেন বাংলার একাধিক পুণ্যার্থী। কেউ হারিয়েছেন মাকে, কেউ ছেলেকে। এরই মধ্যে কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্য়া নিয়ে তরজার শেষ নেই। এ বিষয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন জয়া বচ্চন। তাঁর দাবি, ' সব থেকে বেশি দূষিত জল এখন কোথায়? কুম্ভে। তা নিয়ে কেউ কিছু বলছেন না। মৃতদেহ যা জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে তাতে জল দূষিত হয়েছে। এই জলই সেখানের মানুষের কাছে পৌঁছছে। এনিয়ে কেউ কিছু বলছেন না। পুরো চোখে ধুলো দেওয়া হচ্ছে।'
এই পরিস্থিতিতেই ফের মহাকুম্ভে ঘটে গেল আরও একটি দুর্ঘটনা।