মুম্বই: এক সময় ছোট পর্দা আর পঞ্জাবি ছবির পরিচিত মুখ ছিলেন। বলিউডেও কাজ করেছেন অনেক। কিন্তু লকডাউনে মারাত্মক অর্থকষ্টে পড়েছেন ৬৫ বছরের সতীশ কাউল। মহাভারত সিরিয়ালে ইন্দ্রের ভূমিকায় অভিনয় করা এই শিল্পী নিজের দু’বেলার খাবার, ওষুধপত্র জোগাড় করতে পারছেন না, এখন সাহায্যপ্রার্থী।
আগে সতীশ থাকতেন একটি বৃদ্ধাবাসে। কিছুদিন আগে লুধিয়ানার ভাড়াবাড়িতে উঠে এসেছেন। তাঁর স্বাস্থ্য ঠিকই আছে কিন্তু লকডাউনে অর্থাভাবের সঙ্গে যুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্তদের কাছে তাঁর অনুরোধ, যদি তাঁকে ওষুধপত্র, মুদির দোকানের সরঞ্জাম ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে একটু সাহায্য করা যায়। সতীশের কথায়, অভিনেতা হিসেবে আমি এত ভালবাসা পেয়েছি, এবার মানুষ হিসেবে একটু মনযোগপ্রার্থী।
জানা গিয়েছে, ২০১১-য় মুম্বই থেকে পঞ্জাব গিয়ে একটি অভিনয় শেখার স্কুল খোলেন সতীশ। কিন্তু তা ভাল চলেনি। এরপর অল্প টাকায় কাজ পান পাতিয়ালার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর মধ্যে ২০১৫-য় শরীরের নিম্নাংশের হাড় ভেঙে যাওয়ায় কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায় তাঁর। আড়াই বছর হাসপাতালে ছিলেন। এরপর চলে যান বৃদ্ধাবাসে। সতীশ জানিয়েছেন, তিনি ফের অভিনয় করতে চান। যে কোনও চরিত্রে তিনি আগ্রহী, অভিনয়ের স্পৃহা এখনও মন থেকে মুছে যায়নি। নিজের জন্য একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই কিনতে চান তিনি।
৩০০-র বেশি হিন্দি ও পঞ্জাবি ছবিতে কাজ করেছেন সতীশ। পেয়ার তো হোনা হি থা, আন্টি নাম্বার ১, জঞ্জির, ইয়ারানা, রাম লখন-এর মত ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ২০১১-য় পঞ্জাবি ছবির জন্য লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডও পান।
মহাভারত-এ ইন্দ্র সেজেছিলেন, দু’বেলা খাবার জোগাড়ে হিমসিম খাচ্ছেন এই অভিনেতা
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
22 May 2020 03:58 PM (IST)
৩০০-র বেশি হিন্দি ও পঞ্জাবি ছবিতে কাজ করেছেন সতীশ। পেয়ার তো হোনা হি থা, আন্টি নাম্বার ১, জঞ্জির, ইয়ারানা, রাম লখন-এর মত ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ২০১১-য় পঞ্জাবি ছবির জন্য লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডও পান।
NEXT
PREV
খবর (news) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -