সমীরণ পাল এবং ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুমিছিল। মৌনি অমাবস্যার স্নানের জন্য হুড়োহুড়ি, ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৯০ জন। আজ প্রয়াগরাজ যাচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কুম্ভমেলার পাশে বিকল্প সেতু থাকলেও কেন বন্ধ ছিল? এক বছর ধরে প্রস্তুতি, তাও কীভাবে অমৃত-স্নানে অঘটন ঘটল? কাদের গাফিলতিতে দুর্ঘটনা? দোষীদের চিহ্নিত করার আশ্বাস দিয়েছে যোগী প্রশাসন।                  

এদিকে, মহাকুম্ভ থেকে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরছেন উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার কয়েকজন পুণ্যার্থী। বরাত জোরে বেঁচে ফিরেছেন তাঁরা। পুণ্যস্নানেরজন্য ২৬ জানুয়ারি প্রয়াগরাজে যায় গাইঘাটার দলটি। গতকাল মাঝরাতে তাঁরা স্নানের জন্য সঙ্গম ঘাটে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, রাত ১২টার পর থেকেই কুম্ভ মেলার পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। শুরু হয় হুড়োহুড়ি। পদপিষ্টের ঘটনায় গাইঘাটার কয়েকজন পুণ্যার্থীও গুরুতর আহত হন। তাঁদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে প্রয়াগরাজ থেকে গাইঘাটায় ফিরছেন পুণ্যার্থীরা।                    

এমনকী মহাকুম্ভে পুণ্যস্নানে গিয়ে প্রাণ গেল বিজয়গড়ের প্রৌঢ়ার। মৃত বাসন্তী পোদ্দার কলকাতা পুরসভার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের অশ্বিনীনগরের বাসিন্দা। মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান করতে সোমবার ছেলে-মেয়ে ও বোনের সঙ্গে প্রয়াগরাজে যান প্রৌঢ়া। ছেলের দাবি, মাঝরাতেই তাঁরা সঙ্গম ঘাটের উদ্দেশ্য রওনা দেন।রাত ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। ভিড় সামলাতে পুলিশ ছিল না বলে অভিযোগ মৃতের ছেলের। প্রয়াগরাজ থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে প্রৌঢ়ার দেহ আজই আনা হচ্ছে কলকাতায়।                                         

আরও পড়ুন, 'কেউ শুনছিল না, মাড়িয়ে চলে যাচ্ছিল', মহাকুম্ভে প্রাণহানি বাংলা থেকেও, উঠে এল যন্ত্রণার কাহিনি

অন্যদিকে, মহাকুম্ভে মহা বিপর্যয়, সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল মামলা।  ঘটনার পর কী পদক্ষেপ নিয়েছে যোগী সরকার? স্টেটাস রিপোর্ট তলব করুক সর্বোচ্চ আদালত, আর্জি মামলাকারীর। সমস্ত রাজ্যকে কুম্ভ মেলায় সহায়তা কেন্দ্র খুলতে বলা হোক, সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদনও জানিয়েছেন মামলাকারী। 

 

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে