অমৃতসর: উনিশ শতকের শিখ শাসক মহারাজ রণজিৎ সিংহের একটি ব্রোঞ্জের মূর্তি পাকিস্তানে ভাঙচুর করা হয়েছে। শুক্রবার লাহোর দুর্গে ঘটেছে এই ঘটনা। গত বছর মূর্তিটি লাহোর দুর্গে বসানো হয়, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মূর্তিটির ওপর হামলা হল।


রণজিৎ সিংহের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় জাহির নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে লাহোরের হরবানসপুরা এলাকায় বাসিন্দা। অভিযোগ, লাহোর শহরের শাহী কেল্লার মধ্যে ওই ভাস্কর্যের একটি হাত ভেঙে ফেলেছে সে। তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানি দণ্ডবিধির ২৯৫, ২৯৫এ এবং ৪২৭ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।


জাহির বলেছে, রণজিৎ সিংহ মুসলমানদের ওপর অত্যাচার করেছিলেন, তাই তাঁর ভাস্কর্যটি তৈরি করা উচিত হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, সে খাদিম হুসেন রিজভি নামে এক মৌলবীর মতবাদে অনুপ্রাণিত, ওই মৌলবী রণজিতের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রচার করতেন। অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে অসহিষ্ণুতা দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানি সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে, বহু শিক্ষাবিদ এর বিরোধী।


২০১৯ সালে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে রণজিৎ সিংহের ওই মূর্তিটি বসানো হয়। শের-ই-পঞ্জাব নামে খ্যাত রণজিৎ দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন। তাঁর মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে ভারত, পাকিস্তান তো বটেই, অন্যান্য কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।