মুম্বই: মারাঠাভূমে ভোট। মসনদ হবে কার ? পাল্লা কোনদিকে হবে ভারী ? জনতা জনার্দন কি থাকবে মহাজুটির পক্ষে, নাকি বাজিমাত করবে মহাবিকাশ আঘাড়ী ? সকলের নজর সেদিকেই। ভোটের সকালে বাণিজ্যনগরী সরগরম। সকাল সকাল ভোট দিলেন বিনোদন থেকে ক্রীড়াজগতের তারকা মহাতারকারা । এক দফায় ভোট হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। ২৮৮ টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ভোটকেন্দ্রের বাইরে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন অক্ষয়কুমার, জন এব্রাহাম থেকে কার্তিক আরিয়ান, রাজপাল যাদব।
এবার মহারাষ্ট্রে একদিকে বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে) ও এনসিপির (অজিত) জোট ,মহাজুটি। অন্যদিকে কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি) ও এনসিপির (শরদ) জোট মহাবিকাশ আঘাড়ী।
সকাল সকালই ভোট দিতে আসেন সস্ত্রীক সচিন। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সারাও। ভোট দেওয়ার পর অন্যদেরও সকাল সকাল ভোট দিতে বলেন মাস্টারব্লাস্টার। বলেন , 'আমি বেশ কিছুদিন ধরে ভারতের নির্বাচন কমিশনের আইকন ছিলাম। আমি সকলকে বলব, আসুন এবং ভোট দিন। এটা আমাদের দায়িত্ব। আমি আশা করি জনগণ সেই প্রচেষ্টা গ্রহণ করবে এবং ভোট দেবে। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি ভোট দিতে।'
একই সুরে অক্ষয় কুমারও বলেন, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এবার ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা দুর্দান্ত। যথাসম্ভব পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয়েছে। আমি চাইব সবাই তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। ভোটাধিকার প্রয়োগ করার পর অভিনেত্রী ঊর্মিলা মাতন্ডকর লেখেন, নিজের জন্য, সন্তানদের জন্য, সমাজের জন্য এবং মহারাষ্ট্রের জন্য ভোট দিন। ভোট দিয়েছেন রিতেশ দেশমুখ এবং জেনেলিয়া ডি'সুজাও। লাতুরের ভোট কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বলেন, মহাবিকাশ আঘাড়ীর সরকারই আসবে।
অন্যদিকে বান্দ্রা পূর্ব থেকে ভোটে লড়ছেন এনসিপি প্রার্থী জিশান সিদ্দিকি। এই প্রথম মাথার ওপর বাবার হাত নেই। ভোট দিতে এলেন একাই। গত ১২ অক্টোবর লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হাতে মারা যান বাবা সিদ্দিকি। প্রথমবার জিশান তাঁর বাবা, বাবা সিদ্দিককে ছাড়াই এসেছিলেন ভোট কেন্দ্রে । বলেন, 'আমি একা ভোট দিতে এসেছি। আমার বাবা আর নেই। আমি জানি , বাবা আমার সঙ্গে আছেন। আমি সকালে কবরস্থানে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমার দিন শুরু করেছি।'
দুই মূল প্রতিপক্ষ জোট ছাড়াও বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলও রয়েছে মারাঠাভূমে ভোটের লড়াইয়ে । এই সব আঞ্চলিক দলও নির্বাচনের ফল বেরনোর পর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।