মুম্বই: তাঁরা আলাদা করে বিজেপিতে যোগ দেননি। গোটা এনসিপি দলটাই হাত মিলিয়েছে বিজেপি-একনাথ শিন্ডের সরকারের সঙ্গে। অর্থাৎ বিরোধী শিবির ছেড়ে, শাসক শিবিরে এল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (NCP), উপ মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে এমনটাই দাবি করলেন অজিত পওয়ার। 


দায়িত্ব নেওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠকে অজিত পওয়ার দাবি করেন, 'এনসিপি সরকারে যোগ দিয়েছে। ভোটে লড়ার জন্য দলের নাম এবং প্রতীক আমরাই ব্যবহার করব।' দলবদল আইনের কোপে পড়ার আশঙ্কাকে উড়িয়েই এই দাবি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই আলোচনা অনেক আগে থেকেই হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন অজিত পওয়ার। তিনি বলেন, 'এই দেশে এবং এই রাজ্যে কী হচ্ছে তা আমরা দেখছি, তারপরেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে উন্নয়নকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।'


 






অজিত পওয়ারের এই পদক্ষেপের পরেই মুখ খুলেছেন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর নেতা সঞ্জয় রাউত। তাঁর কটাক্ষ, 'কয়েকজন মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে কলুষিত করতে চাইছে। তাঁরা তাঁদের পছন্দের রাস্তাতেই যাক।' কারও নাম না বললেও রাজনৈতিক মহলের ধারণা, অজিত পওয়ার, একনাথ শিন্ডে এবং বিজেপিকেই নিশানা করেছেন তিনি।


এনসিপির অন্দরের এই লড়াই খুব নতুন নয়। এনসিপি-এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শরদ পওয়ার। মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই নেতা, দিল্লির রাজনীতিতেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুখ। বরাবর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন UPA-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিল তাঁর দল। একাধিক জটিল সময়ে শরদ পওয়ারের রাজনৈতিক কৌশল এবং দৌত্যের উপর ভরসা রেখেছেন অনেকেই। এই শরদ পওয়ারের দলেই এবার বড়সড় ভাঙন। দীর্ঘদিন ধরেই এনসিপিতে তাঁর প্রায় ছায়াসঙ্গী ছিলেন তাঁরই ভাইপো অজিত পওয়ার। দলের রাশ কার হাতে থাকবে তাই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই টানাপড়েন চলছিল। সম্প্রতি মেয়ে সুপ্রিয়া সুলেকে দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী সভানেত্রী করেন শরদ পওয়ার, অর্থাৎ দলের উত্তরাধিকারের পদেই বসান। তারপর থেকেই ভাইপো অজিত পওয়ারের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব আরও বেড়ে যায়।


আরও পড়ুন: এক বছরে অর্ডার ৭.৬ কোটি প্লেট বিরিয়ানি! টেক্কা বাকি সবাইকে