মুম্বই: ঠিক একবছর আগে শিবসেনায় গৃহযুদ্ধ হয়েছিল। তাতে ওলটপালট হয়ে গিয়েছিল মহারাষ্ট্রের পটচিত্র। বদলে গিয়েছিল সরকারও। আর তার প্রায় এক বছর পরে ফের গৃহযুদ্ধ। এবার এনসিপি শিবিরে। শরদ পওয়ারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে একাধিক বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রের বিজেপি-একনাথ শিন্ডে সরকারে যোগ দিয়েছেন অজিত পওয়ার। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন প্রফুল্ল প্যাটেল, ছগন ভুজবলের মতো এনসিপির বর্ষীয়ান নেতারা। এই ঘটনায় এবার খোদ শরদ পওয়ার দিকেই ইন্ধনের ইঙ্গিত এমএনএস-নেতা রাজ ঠাকরের। 


গোটা ঘটনায় শরদ পওয়ার কিছু জানতেন না বলে যেভাবে দেখানো হচ্ছে, তা ঠিক নয় বলেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রাজ ঠাকরে। এমনকী এই নাটকীয় রাজনৈতিক ঘটনার পিছনে শরদ পওয়ারের মস্তিষ্কও থাকতে পারে বলে একটি সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন তিনি। সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, রাজ ঠাকরের দাবি, প্রফুল্ল প্যাটেল, দিলীপ ওয়ালসে, ছগন ভুজবলের মতো নেতারা শরদ পওয়ারের আশীর্বাদ ছাড়া নিজে থেকে অজিত পওয়ারের হাত ধরেছেন বলে তাঁর মনে হয় না। 


মহারাষ্ট্রে এমন রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কড়া সমালোচনা করেছেন এককালে বালাসাহেব ঠাকরের ছায়াসঙ্গী তাঁর ভাইপো এবং এমএনএস-এর প্রতিষ্ঠাতা রাজ ঠাকরে। 


এদিনই দুই বৈঠক:
বুধবার মুম্বইয়ে দুটি পৃথক জায়গায় মিটিং ডেকেছেন শরদ এবং অজিত। এনসিপির নামেই ডাকা হয়েছে দুটি আলাদা মিটিং। দুপক্ষের তরফেই পোস্টার-ফ্লেক্সে ছেয়ে গিয়েছে নানা এলাকায়। কোথাও শরদ পওয়ারের নামে দলের নেতা-কর্মী-বিধায়কদের মিটিংয়ে যোগ দিতে বলা হয়েছে, কখনও আবার অজিত পওয়ারের নাম নিয়ে বাস্তবোচিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ডাক দেওয়া হয়েছে। শরদ পওয়ার শিবিরের তরফে একটি হুইপ জারি করা হয়েছে। দলের টিকিটে জেতা সব বিধায়ককে এদিন ১টার সময় মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্টে হওয়ার মিটিংয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। উল্টোদিকে বান্দ্রায় অজিত শিবিরের তরফে মিটিং ডাকা হয়েছে। অজিত পওয়ার দাবি করেছিলেন এনসিপির ৫৩ জন বিধায়কের মধ্যে ৪৩ জনের সমর্থন তাঁর সঙ্গে রয়েছে। সেই দাবি নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছিল শরদ পওয়ার শিবিরের তরফে। ফলে এদিনের দুটি বৈঠক কার্যত দুই শিবিরের শক্তিপরীক্ষার লড়াই বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, মহারাষ্ট্রের বিজেপি-একনাথ শিন্ডের শাসক শিবিরে যোগ দেওয়ার পরে অজিত পওয়ার দাবি করেছিলেন, এনসিপি দল হিসেবেই শাসক শিবিরে যোগ দিয়েছে। তাঁরা দল বদল করেননি। 

আরও পড়ুন: কোন শেয়ার কিনবেন জুলাইতে ? আইটিসি, এসবিআই ছাড়াও কারা দেবে ২৫ শতাংশ লাভ