নয়াদিল্লি : স্বাধীনতার ৭৫ বছরের শেষে আগামী ২৫ বছরের মার্গদর্শন করালেন মোদি। প্রধামন্ত্রীর সামনে এখন মিশন ২০৪৭ । আগামী বছর লোকসভা ভোট। আগামী ৫ বছর দিল্লির মসনদ বিজেপির দখলে থাকবে কি না, তার পরীক্ষা। কিন্তু তার আগেই স্বাধীনতার ১০০ বছরের কথা মাথায় রেখে এগোচ্ছেন মোদি। 



২০৪৭ সালের  মধ্যে দেশের বিকাশের লক্ষ্যে কীভাবে এগোতে হবে, তার দিশা দেখালেন মোদি।  পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে উন্নতির লক্ষ্যে দিলেন বার্তা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে মঙ্গলবার মেদি কথা বললেন আগামী ২৫ বছর  উন্নততর ভারত গড়ে তোলার মিশনে কী কী করতে হবে। 

কী কী উদ্যোগ নিলে তাঁরা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন, তা নিয়ে আলোচনা করেন মোদি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ‘মিশন মোডে’ কাজ করতে হবে বলে পরামর্শ দেন মোদি। মঙ্গলবার দিল্লির প্রগতি ময়দানের কনভেনশন কেন্দ্রে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক করেন মোদি। 


পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে  কী কী বলেন প্রধানমন্ত্রী ?


এ বছর G-20 তে সভাপতিত্ব করবে  ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার টুইটে লেখেন, বিভিন্ন নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রী পরিষদের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, তাঁর সরকার নয় বছরে অনেক কাজ করেছে  এবং ২০২৪ এর ভোটের কথা মাথায় রেখে তাঁর মন্ত্রীদের আগামী নয় মাসে সে বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার কথা বলেন তিনি। 


বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর সফরের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেন। সেই সফরের ইতিবাচক দিকগুলি এদিন বৈঠকে তুলে ধরেন মোদি। সেইসঙ্গে ২০৪৭ সালের রোড ম্যাপ তিনি তুলে ধরেন তাঁর মন্ত্রীদের সামনে। প্রধানমন্ত্রী বলেন,  শক্তিশালী ভারত গড়ে তুলতে হবে,  যাতে এটি  সারা বিশ্বের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে। বৈঠকে কয়েকটি  মন্ত্রকের তরফে তাঁদের কাজের খতিয়ানের প্রেজেন্টেশন দেয়। প্রধানমন্ত্রীও তাঁর মতামত তুলে ধরেন। সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী এদিন মন্ত্রকগুলিকে জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি রূপায়ণের উদ্দেশ্যে সক্রিয়তা বাড়ানোর নির্দেশ দেন। 

আগামী ২০ জুলাই শুরু হবে মোদি সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগে বেশ কিছু স্ট্র্যাটেজি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিএল সন্তোষ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগড়, তেলঙ্গনা এবং মিজোরামের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপি শিবিরে।