মুম্বই: রাষ্ট্রীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার বা এনপিআর চালু করতে চলেছে মহারাষ্ট্র সরকার। ১ মে থেকে শুরু হবে জনগণনা, চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি ও এনপিআরের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাঝেই মহারাষ্ট্র সরকার এনপিআর ও জনগণনার কাজে হাত দেওয়ার ঘোষণা করল।

মহারাষ্ট্রে এনসিপি ও কংগ্রেসের হাত ধরে ক্ষমতায় এসেছে শিবসেনা সরকার। এনসিপি-কংগ্রেস উভয়েই দাবি করেছে, তারা এ রাজ্যে এনআরসি করতে দেবে না। দুই দলই টানা এনআরসি, সিএএ ও এনপিআরের বিরোধিতা করে আসছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, এনপিআরে হাত দেবে তারা। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, এই সরকার কি আদৌ টিকবে না পড়ে যাবে।

মহারাষ্ট্র বিধানসভার ২৮৮টি আসনের মধ্যে সরকার গড়তে চাই ১৪৫টি আসন। শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যা ৫৬, এনসিপির ৫৪, কংগ্রেসের ৪৪। সব মিলিয়ে ১৬৯। এই পরিস্থিতিতে উদ্ধব এনপিআর চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এনসিপি-কংগ্রেস তা মানবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এনপিআর হল দেশের নাগরিকদের ডেটাবেস। কোনও ঠিকানায় যিনি গত ৬ মাস ধরে রয়েছেন বা আগামী ৬ মাস থাকবেন তাঁর নাম উঠবে এই রেজিস্টারে। এর তথ্য সাহায্যে নানা উন্নয়ন যোজনায় হাত দেয় সরকার। এতে নাগরিকত্ব দেওয়া বা কেড়ে নেওয়া- কোনওটাই হয় না। ২০১০-এ প্রথম দেশজুড়ে এনপিআর হয়। কিন্তু এনআরসি ও সিএএ নিয়ে বিতর্কের জেরে এবার এনপিআর নিয়েও অশান্তি শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি বিরোধী শাসিত রাজ্য জানিয়েছে, তারা এই প্রক্রিয়া চালু করবে না।