মুম্বই : ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা এবার মহারাষ্ট্রে। সোমবার বম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চে এই মন্তব্য করেছে রাজ্য সরকার। উদ্ধব ঠাকরে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দুটি স্বাস্থ্য যোজনার অধীনে এই সুবিধা লাভ করবেন রোগীরা।


এদিন হাইাকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মহারাষ্ট্র কাউন্সিল বলে, মিউকরমাইকোসিস হলে মহাত্মা জ্যোতিবা ফুলে আরোগ্য যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার অধীনে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা হবে। বিচারপতি আরভি ঘুগে ও বিচারপতি বিইউ দেবাড়ওয়াড়কে আশ্বস্ত করে মহারাষ্ট্র সরকার জানায়, ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১৩০টি হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।


চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধের জোগান দেওয়া হবে। এখানেই শেষ নয়। শীঘ্র্ই ১০০০-এর বেশি হাসপাতালে সরকারের দুই স্কিমের অধীনে মিউকরমাইকোসিসের বিনামূল্যে চিকিৎসা শুরু হবে। তবে শুধু সরকারি হাসপাতালেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়া যাবে এমনটা নয়। বেসরকারি হাসপাতালে ফ্রিতে না হলেও মিউকরমাইকোসিস চিকিৎসার খরচের সীমা নির্ধারিত করে দেবে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে রোগীর পরিবারের কাছে আকাশছোঁয়া বিল চাইতে পারবে না প্রাইভেট হসপিটালগুলি।


গত ১৮ মে মিউকরমাইকোসেসির বিষয়ে গভর্নমেন্ট রেজোলিউশন ই্স্যু হয়। এদিন হাইকার্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই সাবমিশনকে গ্রহণ করে তা প্রচার করার অনুমতি দেয়। এ প্রসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, আপাতভাবে দেখে মনে হচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় নির্দিষ্ট নীতি গ্রহণ করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। যেখানে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও ইচ্ছেমতো বিল বাড়াতে দেবে না রাজ্য সরকার। তাই সরকারের উদ্যোগের খুব প্রচার হওয়া উচিত। যাতে গরিব, প্রত্যন্ত গ্রামে নিরক্ষর এমনকী অর্ধ নিরক্ষররাও এই স্কিমের বিষয়ে জানতে পারেন। আদিবাসীরাও যেন বিনামূল্যে এই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন।


সম্প্রতি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন সনিয়া গাঁধী। চিঠিতে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি লিখেছেন, লিপোসোমাল অ্যামফোটেরিসিন-বি ওষুধগুলির অভাব দেখা দিয়েছে। এগুলিই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের চিকিৎসায় কাজে লাগে। তাই অবিলম্বে এগুলো জোগারের ব্যবস্থা করুন। 


পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সনিয়া। তিনি জানান, মোদি সরকারের স্বাস্থ্যবিমায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মতো মহামারী কভার করা হয় না। আয়ুষ্মান ভারত ছাড়া অন্য প্রায় সব স্বাস্থ্যবিমা কোম্পানিগুলিও এই মহামারী নিয়ে একই নীতি নিয়েছে। এই দিকে যেন নজর দেন প্রধানমন্ত্রী।