সনৎ ঝা, সিকিম: উত্তর সিকিমে ভয়াবহ তুষারধস (Sikkim Avalanche), ৬জন পর্যটকের মৃত্যু। ছাঙ্গু লেক যাওয়ার পথে নাথুলা বর্ডারের কাছে তুষারধস। উত্তর সিকিমে ভয়াবহ তুষারধস, ৬ জনের মৃত্যু, ১১জন আহত । ১৭ মাইলের কাছে তুষারধস, বহু পর্যটক আটকে থাকার আশঙ্কা।
সিকিমের ছাঙ্গু লেক, নাথুলা বর্ডার পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় স্থান। সিকিমে গেলে এই দুই জায়গায় যায় না, এমন লোক কম। সেখানেই এবার ভয়ঙ্কর বিপর্যয়। সিকিমের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য ছাঙ্গু লেকের কাছে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, পর্যটকরা যখন পায়ে হেঁটে যাত্রী থাকলেও ছাঙ্গু লেক যাওয়ার পথে নাথুলা বর্ডারের কাছে ভয়ঙ্কর তুষারধস নামে। এখনও পর্যন্ত ৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ।ক্রমশ বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ১৭ মাইলের কাছে তুষারধস, বহু পর্যটক আটকে থাকার আশঙ্কা। সিকিম পুলিশ, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দল সহ উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। অনুমান করা হচ্ছে যে তুষারধসের সময় ওই এলাকায় ১৫০ জনেরও বেশি পর্যটক ছিল।
গত বছর ভুটান (Bhutan) পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির জের। হাসিমারা ঝোড়ায় জলোচ্ছ্বাসে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জয়গাঁও শহরে ঝর্নাবস্তির রাস্তায় ধস। জয়গাঁওয়ের সঙ্গে আশপাশের এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। আজ ভোরে হাসিমারা ঝোড়ায় জল উপচে ভেসে যায় আশপাশের এলাকা। স্থানীয়দের আশঙ্কা, নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে ঝর্নাবস্তি সংলগ্ন একাধিক বাড়ি। ঘটনাস্থলে যান ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক।
ঝর্নার জল খেতে বাধ্য হচ্ছেন পর্যটকরা: গতবছর বৃষ্টির জেরে সিকিমের ( Sikkim ) সিংতামে ধস নামে। এমন আরও ধস নামার আশঙ্কার কথাও শুনিয়ে রেখেছিলেন আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তারা। তাই পর্যটকরা ভয়কে সঙ্গী করেই ব্যাগ পিঠে তুলে নেন। ধস নামে নেপালে ( Nepal Disaster )। আর তার জেরে নেপালে গিয়ে ধসে আটকে পড়েন বহু বাঙালি পর্যটক। মুক্তিনাথ দর্শনে যান রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাঙালি পর্যটকরা। প্রায় ১৫টি জায়গায় ধস নেমেছে। এর ফলে আটকে পড়ে পর্যটক বোঝাই একাধিক গাড়ি। খাবার ও পানীয় জলের সমস্যাও প্রকট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ঝর্নার জল খেতে বাধ্য হন পর্যটকরা। দিল্লির তরফে নেপাল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টাও করা হয়।
আরও পড়ুন: Job Agitation : বিক্ষোভ, ধরপাকড়, ফের চাকরিপ্রার্থীদের লংমার্চ ঘিরে উত্তেজনা, হাওড়ায় আটক কয়েকজন