সেতু তৈরির দায়িত্বে ছিল আরকেইসি নামে অন্ধ্রের এক সংস্থা ও চিনা সংস্থা কোয়ান্ট রো, ৫০-৫০ অংশীদারিত্বে। নিয়ম অনুযায়ী, লঞ্চারের মাধ্যমে দুটি পিলারের মাঝে গার্ডার বসাতে হয়। এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, সেতু তৈরিতে ব্যবহার করা হয় নিম্নমানের সামগ্রী। তবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল না। সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতদের একজন স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়র। অন্যজন দিল্লির বাসিন্দা। সেতু দুর্ঘটনায় আহত তিনজনই শ্রমিক। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের পার্ক সার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
মৃত ইঞ্জিনিয়ার ৪০ বছরের কে শ্রীনিবাস রাও অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। অন্যজনের বয়স ২৬, নাম সচিন প্রতাপ। আহত রঞ্জন কুমার বিহারের ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা। তাঁর মাথা, কোমর ও পায়ে আঘাত রয়েছে। ভেন্টিলেশনে রয়েছেন বছর তেইশের ওই শ্রমিক। আরেক শ্রমিক বছর সাতাশের মুকেশ পাণ্ডে বারাণসীর বাসিন্দা। তাঁর কোমর ও পায়ে আঘাত রয়েছে। তৃণমূল র ঘটনার সম্পূর্ণ দায় চাপিয়েছে কেন্দ্রের ওপর। মালদা জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি চন্দনা সরকার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চেয়েছেন, বলেছেন, গতকাল রবিবার থাকায় হতাহতের সংখ্যা কম হয়েছে, না হলে ৫০-এর বেশি মানুষ মারা যেতে পারতেন। পুলিশ অবশ্য বলেছে, রিপোর্ট পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে তারা।
স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বজিৎ সোম বলেছেন, পরিকাঠামো তৈরির সময় পদ্ধতিগত সব জায়গাগুলির এখনই পুনর্মূল্যায়ন জরুরি, ওই সব ক্ষেত্রে নিশ্চয় গলদ আছে।
আবার ভাঙা সেতু ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সেতু তৈরি নিয়ে চলছে কাটমানির খেলা, কায়েম হয়েছে মস্তানরাজ, দাবি তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর। বিজেপির খগেন মুর্মূ বলেছেন, নির্মীয়মাণ সেতু কীভাবে ভেঙে পড়ল, দুর্ঘটনার জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে তদন্ত হোক। যে অপরাধী শাস্তি দেওয়া হোক তাকে।