নয়াদিল্লি: দিল্লির শাহিনবাগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভকারীদের তুলে দেওয়া নিয়ে আজ ফের শীর্ষ আদালতে শুনানি। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করে মামলাটি রুজু হয়েছে। বলা হয়েছে, শাহিনবাগে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আটকে বিক্ষোভকারীরা দীর্ঘদিন ধরে বসে থাকায় দিল্লি-নয়ডা সংযোগকারী রাস্তায় নিয়মিত প্রচণ্ড যানজট হচ্ছে, সমস্যায় পড়ছেন হাজার হাজার নিত্যযাত্রী।

জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন জনৈক নন্দকিশোর গর্গ ও অমিত সাহানি। তাঁরা বলেছেন, কালিন্দী কুঞ্জের কাছে শাহিনবাগে যে বিক্ষোভকারীরা বসে রয়েছেন, তাঁরা যেভাবে রাস্তা আটকে রয়েছেন, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। কেন্দ্রীয় সরকার সহ সব সংশ্লিষ্ট পক্ষকে এখনই নির্দেশ দেওয়া হোক, যাতে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করার বিরুদ্ধে সুষ্পষ্ট গাইডলাইন তৈরি করা হয়। এ ব্যাপারে ১০ তারিখ বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউল ও কে এম জোসেফের বেঞ্চ কেন্দ্র, দিল্লি সরকার ও পুলিশকে নোটিশ দিয়েছে।

আগের শুনানির সময় বিচারপতি কাউল প্রায় ২ মাস ধরে চলা এই বিক্ষোভ সম্পর্কে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এতদিন ধরে বিক্ষোভ চলছে, কীভাবে আপনারা জনসাধারণের রাস্তা আটকে রাখতে পারেন?

সিএএ, এনআরসি ও এনপিআরের প্রতিবাদে মূলত মুসলমান মহিলারা শাহিনবাগে বিক্ষোভে বসেছেন। এই বিক্ষোভ গোটা দেশে পরিচিতি পেয়েছে। অনেকের সঙ্গে রয়েছে ছোট ছোট শিশু। একটি ২ মাসের শিশুর প্রবল শীতে মৃত্যুও হয়েছে।