অভিজিৎ চৌধুরী, চাঁচল(মালদা) : দুয়ারে সরকারের "লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার"-এ আবেদন করতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক মহিলা। তড়িঘড়ি তাকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আবেদনকারীদের অভিযোগ, অত‍্যাধিক ভিড় ও স্বাস্থ‍্যবিধি উপেক্ষা করে চলছে এই শিবির।


চাঁচলে প্রথম দিনের দুয়ারে সরকার শিবিরে উপচে পড়ল ভিড়। অধিকাংশের মুখে নেই মাস্ক। রাজ‍্যের নয়া প্রকল্প 'লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার' ফর্মের জন‍্য দীর্ঘক্ষণ লাইন দাড়িয়ে থাকেন মহিলারা। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই সরকারি প্রকল্পের আবেদন চলছে। প্রথম দিনে সোমবার মালদার চাঁচল-১ নং ব্লকের কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার শিবির। এদিন ভোর থেকেই ক‍্যাম্পে ভিড় জমান মহিলারা।


তবে সকাল দশটায় শুরু হয় ফর্ম বিলির কাজ। গরমে হাঁসফাস করে লাইনে দাঁড়িয়ে মহিলারা। গোটা ঘটনায় কার্যত স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় উঠল এদিন। লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারে আবেদন করতে আসা এক মহিলা আনসেরা বিবি দাবি করেন, প্রতিটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথে বুথে এই শিবির করলে নাজেহাল হতাম না। বাচ্চা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ গরমের মধ‍্যে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। ফর্ম মিলবে কি না সন্দেহ রয়েছে।


চাঁচল-১ এর বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য বলেন, ফের দুয়ার সরকার শিবির চালু হওয়ায় জনসাধারণের উৎসাহ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে ক‍্যাম্পে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। মাস্কবিহীনদের ধরতে প্রবেশদ্বারে রয়েছে পুলিশের কড়া প্রহরা।


অন‍্যদিকে দুয়ারে সরকার শিবিরকে সাফল‍্যমণ্ডিত করতে তৎপর কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রেজাউল খান। এদিনের ভিড় রুখতে নানান পদক্ষেপ নেন তিনি। শুধু একদিন নয়! আরও তিনদিন ক‍্যাম্প বসবে। আজকেই শুধু আবেদন প্রক্রিয়া চলবে না। আরও হবে। এইভাবে আবেদনকারীদের আশ্বাস দেন প্রধান। তাই ভিড় না করার বার্তা দেন তিনি।


প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রেখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যে চালু হচ্ছে এই প্রকল্প। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনের পাশাপাশি, দুয়ারে সরকার প্রকল্পেও এজন্য আবেদন করা যাবে। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে জেনারেল ক্যাটেগরি পরিবারের কর্ত্রীকে মাসিক ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারের কর্ত্রীকে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ, যোগ্য জেনারেল কাস্ট পরিবার বছরে ৬ হাজার টাকা ও SC, ST এবং OBC পরিবার বছরে ১২ হাজার টাকা করে পাবে। এর ফলে উপকৃত হবেন ১ কোটি ৬০ লক্ষ মহিলা।