নয়াদিল্লি: প্রয়াত দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। বৃহস্পতিবার দিল্লির AIIMS-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন নবতিপর রাজনীতিক। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া দেশের রাজনৈতিক মহলে। মনমোহনের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এক মহান রাষ্ট্রনায়ককে দেশ হারাল বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা। (Manmohan Singh Demise)
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়িতে অজ্ঞান হয়ে যান মনমোহন। বাড়িতেই তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা হয় তাঁর। এর পর তড়িঘড়ি AIIMS-এ আনা হয়। কিন্তু হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও ফেরানো যায়নি তাঁকে। রাত ৯টা বেজে ৫১ মিনিটে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন মমতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, 'প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহজির প্রয়াণে আমি স্তোকস্তব্ধ, ব্যথিত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ওঁর সঙ্গে কাজ করেছি, ওঁকে কাছ থেকে দেখেছি। ওঁর পাণ্ডিত্য এবং প্রজ্ঞা প্রশ্নাতীত। ওঁর হাতে হওয়া দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার সর্বজন স্বীকৃত। ওঁর অভিভাবকত্বের অভাব বোধ করবে দেশ। ওঁর স্নেহের অভাব বোধ করব আমি। ওঁর পরিবার, বন্ধু, অনুগামীদের সমবেদনা'। (Mamata on Manmohan Demise)
মনমোহনের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করে অভিষেক লেখেন, 'অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ক মনমোহন সিংহকে হারাল ভারত। ওঁর কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রিত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কারের নায়ক ছিলেন উনি, দেশের ভবিষ্যতের রূপকার ছিলেন। দূরদর্শিতাই নেতৃত্বের সেরা গুণ, তাই দেখনদারি ছাড়াই নীরবে কাজ করে গিয়েছেন। ওঁর পরিবার এবং শোকার্ত সকলকে এই অপূরণীয় ক্ষতিতে সমবেদনা জানাই'।
বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি নিয়ে একসময় মনমোহন এবং মমতার মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়। কিন্তু রাজনৈতিক সৌজন্য বজায় ছিল। নিয়ম করে মনমোহনের জন্মদিনে শুভেচ্ছাবার্তা পোস্ট করতে ভুলতেন না মমতা। আবার রাজনীতিক এবং প্রশাসক মমতার প্রশংসা করেছেন মনমোহনও।