কলকাতা: বাংলায় নয়, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে দ্বিতীয়বার পাথর ছোড়া হয় বিহারে। ধূলাবাড়ি ও মানগুরজান স্টেশনের মাঝে ছোড়া হয় পাথর। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়েছে রেল। এই ফুটেজ দেখেই দুষ্কৃতিদের খোঁজ করা হচ্ছে বলে খবর। এবার গঙ্গাসাগর সফরেও এনিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের আক্রমণও শানালেন। 


গতকাল অর্থাৎ বুধবারই ২ দিনের গঙ্গাসাগর সফরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালেই প্রকাশ্যে এসেছে 'বন্দে ভারত'-এক্সপ্রেসে হামলার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ। আর সেটা দেখেই রেলের তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, বাংলায় নয়, এক্সপ্রেসে হামলা হয়েছে বিহারে। 


আজ এবিপি আনন্দকে পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ' বিহার বাংলা বর্ডারে এই ঘটনা ঘটে। এনজেপি ঢোকার কিছু আগে এই হামলা হয়। সময়টা ১২.৫৫। এই সময় ট্রেনের বিহারেই থাকার কথা। এই ঘটনার তদন্ত হবে ও কাউকে ছাড়া হবে না। যাঁরা এই বহুমূল্য ট্রেনের টিকিট কেটে সফর করছেন, আনন্দ উপভোগ করছেন, তাঁদের বিঘ্ন বরদাস্ত হবে না।'


আরও পড়ুন: S Jaishankar: রাশিয়া থেকে তেল কিনে মোটেও যুদ্ধের ফয়দা লুঠছে না ভারত, ইউরোপকে কড়া জবাব জয়শঙ্করের


এ বিষয়ে আজ মততা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বন্দে ভারতে পাথর ছোড়ার ঘটনায় বাংলাকে বদনাম করা হয়েছে। বিহারের মানুষ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পছন্দ নাও করতে পারে। ১০০ দিনের কাজে বাংলাকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না। রাজনৈতিক কারণে টিম পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। বিজেপি নেতারা আবাস যোজনার বাড়ি নিয়েছে। সেই নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। ১৭ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতায় আছেন বলে বারবার কেন্দ্রীয় দল পাঠাচ্ছেন। ক্ষমতা আজ আছে, কাল নেই।'


বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হওয়ার পরেই পরপর ২ দিন হামলা হয়েছে এই ট্রেনে। গত ৩ জানুয়ারি, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ঢোকার সময় নতুন সেমি হাইস্পিড ট্রেন লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি শুরু হয়। পাথরের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের C-3 ও C-6 কামরা।   


রেল সূত্রে খবর, সোমবার বিকেল ৫টা ১০-এ, মালদার কুমারগঞ্জ স্টেশনের কাছে ডাউন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। কোনও যাত্রী আহত না হলেও ভেঙে যায় C-13 কামরার দরজার কাচ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রেনের জানালা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা।