কলকাতা: কর্ণাটকে (Karnataka) কুর্সি বদল, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কংগ্রেসের (Congress)। গদি হারানোর পথে বিজেপি (BJP), কিছুক্ষণের মধ্যে ইস্তফা দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাইয়া ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় ১৩৬টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। বিজেপি এগিয়ে ৬৪টি আসনে এখনও পর্যন্ত ২০টি আসনে এগিয়ে জেডিএস। অন্যান্যরা এগিয়ে ৪টি আসনে। ভোট শতাংশেও বিজেপির থেকে অনেক এগিয়ে কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে কংগ্রেস।  বিজেপি পেয়েছে ৩৬ শতাংশ, জেডিএস পেয়েছে ১৩ শতাংশ ভোট। বিজেপির এই পরাজয়ের পর ট্যুইট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।                                             


তৃণমূল নেত্রী ট্যুইটে লেখেন, 'পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দেওয়ায় কর্ণাটকের জনগণকে কুর্নিশ'। কর্ণাটকে বিজেপির ভরাডুবির পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ক্ষমতার আস্ফালন পরাজিত হল। মানুষ গণতন্ত্রের জয় চায়। তখন তাঁদের কোনও কেন্দ্রীয় নীলনক্সা পরাজিত করতে পারে না। এটাই নীতিকথা এবং আগামীর শিক্ষা', ট্যুইট তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 




অন্যদিকে, কর্ণাটক জয়ের পর ভালোবাসার বার্তা রাহুল গান্ধীর। তিনি বলেন, 'জয়ের জন্য কর্ণাটকের জনগণ ও দলের কর্মীদের ধন্যবাদ। কর্ণাটকে শাসক-ঘনিষ্ঠ পুঁজিপতিদের সঙ্গে গরিব মানুষের লড়াই ছিল। কংগ্রেস ছিল গরিব মানুষের সঙ্গে। আমরা ঘৃণার বিরুদ্ধে ভালোবাসার জন্য লড়াই করেছি। ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়ে ভালোবাসার দোকান খুলে গেল। ভালোবাসাই দেশকে ভাল রাখবে। ভোটে যে ৫ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই ৩টি পাস করাব'।                                                         




কাল সকালে বেঙ্গালুরুতে জয়ী কংগ্রেস বিধায়কদের নিয়ে ডাকা হল বৈঠক। কর্ণাটকের ভোটে বিজেপির একের পর এক হেভিওয়েটের হার। হার হয়েছে বিদায়ী স্পিকার বিশ্বেশ্বর হেগড়ের। পরাজিত হয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী বি শ্রীরামুলু, শিক্ষামন্ত্রী বি সি নাগেশের। কংগ্রেসের কাছে হারলেন আইনমন্ত্রী জে সি মাদুস্বামী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর।                                


 



আরও পড়ুন, বাংলায় প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে বিপ্লব এনেছিলেন উপেন্দ্রকিশোর, অবিস্মরণীয় কাজ দেখতে ছুটে এসেছিল ব্রিটিশরাও