কলকাতা: একসঙ্গে ৮টি জরুরি প্রয়োজনীয় ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি, মোদিকে চিঠি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাঁপানি, গ্লকোমা, থ্যালাসেমিয়া, যক্ষ্মা, মানসিক অসুস্থতা-সহ ৮টি ওষুধের ৫০% মূল্যবৃ্দ্ধি হয়েছে। NPAA-র সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, 'কয়েক মাস আগেই বেশ কিছু ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, অ্যান্টিবায়োটিকের ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। হঠাৎ করে ফের ওষুধের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের উপর বোঝা আরও বাড়বে। অবিলম্বে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করুন।'
যে ওষুধগুলোর দাম বাড়ানো হবে, তা হল-
বেনজাইল পেনিসিলিন ইনজেকশন,
অ্যাট্রোপিন ইনজেকশন (০.৬ মিলিগ্রাম)
স্ট্রেপটোমাইসিন ইনজেকশন (৭৫০ মিলিগ্রাম ও ১০০০ মিলিগ্রাম)
স্যালবুটামল ট্যাবলেট ও রেসপিরেটর
পাইলোকারপিন
সেফাড্রক্সিল ট্যাবলেট (৫০০ মিলিগ্রাম)
ডেসফেরিওক্সামিন ইনজেকশন
লিথিয়াম ট্যাবলেট (৩০০ মিলিগ্রাম)
হাঁপানি, গ্লকোমা, থ্যালাসেমিয়া, যক্ষ্মা ও মানসিক অসুস্থতার ওষুধ-সহ আটটি জরুরি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম একধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে পঞ্চাশ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যদি কোনও ওষুধের দাম একশো টাকা হয়, সেটাই এখন কিনতে হবে দেড়শো টাকায়!
আরও পড়ুন, ধনতেরসের আগেই লক্ষ্মী নারায়ণ যোগ, এই রাশির সোনার মোড়া থাকবে ভাগ্য
ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিকাল প্রাইসিং অথরিটি বা এনপিপিএ-র তরফে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, খরচ মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় ওষুধগুলি তৈরিতে সমস্যা হচ্ছিল। ওই আটটি ওষুধ যাতে বাজারে সব সময় পাওয়া যায়, সেই বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই দাম বাড়ানো হয়েছে।
২০১৯ ও ২০২১ সালে একইভাবে প্রায় ৫০ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছিল বহু ওষুধের। এর পর ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রায় ৮০০টি ওষুধের দাম বাড়ানো হয়। এবার অক্টোবরে একধাক্কায় ৫০ শতাংশ বাড়ানো হল ৮ জরুরি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম। রোগ বাড়ছে। ওষুধের দামও বাড়ছে। সাধারণ মানুষের খেয়াল কে রাখবে? না কি মধ্যবিত্তের সুরাহা তো দূরের কথা, উল্টে তাদের ওপর বোঝা চাপিয়ে দেওয়াটাই এখন যে কোনও সরকারের রেওয়াজ হয়ে দাঁড়াচ্ছে?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে