কলকাতা: আত্মনির্ভর ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পশ্চিমবঙ্গের দলীয় নেতাদের অনুরোধ করলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।


বৃহস্পতিবার, কলকাতায় বিজেপির নবগঠিত রাজ্য কমিটির বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে নাড্ডা বলেন, ‘বাংলার ক্ষুদ্র উদ্যোগপতিদের জন্য ব্যবস্থা নিন। আত্মনির্ভর ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যান। এমএসএমই সেক্টরে ঋণ অনুমোদনের উদ্যোগ নিন।’ পাশাপাশি রাজ্যের পাটশিল্পকে পাটশিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেন তিনি।


ঘূর্ণিঝড়ের সময় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সাধুবাদ জানান তিনি। বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের সময় ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল কেন্দ্র। বাংলার বিজেপি নেতার ত্রাণে খুব ভালো কাজ করেছেন। তাঁদের সকলকে আমি সাধুবাদ জানাই।


রামমন্দির ভূমিপুজোর দিন পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন ছিল। এর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনা করেন নাড্ডা। বলেন, ‘এটি হিন্দু বিরোধী মনোভাবের পরিচয়। ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন মমতা।


আগামী বিধানসভায় রাজ্যের তৃণমূল সরকার উৎখাত করার ডাক দেন নাড্ডা। বলেন, ‘আগামী বিধানসভায় তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে হবে। সারা রাজ্যে পদ্ম ফোটাবে বিজেপি।‘


দলকে তিনি বলেন, বুথস্তর পর্যন্ত নেতাকর্মীদের কাছে পৌঁছতে হবে। তাঁদের সবাইকে আমাদের অনুপ্রাণিত করতে হবে। আগামী বিধানসভায় অন্তত ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে।’


তৃণমূলের বিরুদ্ধে রেশন চুরির অভিযোগও তোলেন নাড্ডা। বলেন, ‘তৃণমূলের নেতারা রেশন চুরি করছিলেন। বিজেপির নেতারা ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছে দিয়েছেন। বাংলার বিজেপি নেতাদের এজন্য আমি সাধুবাদ জানাই। ’


মমতার জন্য এরাজ্যের মানুষ আয়ুষ্মান প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও দাবি করেন নাড্ডা। বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘মমতার জন্য বাংলার ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ মানুষ আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁদের বোঝাতে হবে মমতার জন্য তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। ফসল বিমার সুবিধা থেকেও রাজ্যের কৃষকরা বঞ্চিত।’


নাড্ডার দাবি, কেন্দ্রের প্রকল্পগুলিকে নাম বদলে নিজেদের বলে চালাচ্ছে তৃণমূল। তিনি বলেন, ‘মমতা পরিযায়ীদের ট্রেনকে করোনা এক্সপ্রেস বলেছেন। তাঁর মতে, ‘বিশ্বভারতীর অবস্থা দেখে রবীন্দ্রনাথের আত্মা চমকে উঠবে। তৃণমূলের গুণ্ডাদের সেখানে রাজত্ব চলছে। তৃণমূলের মাফিয়ারা মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে।


বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, ‘মমতা গণতন্ত্রের কথা বলেন। কিন্তু প্রতিদিন বিজেপি নেতাকর্মী খুন হচ্ছেন। তখন গণতন্ত্রের কোনও শব্দ কিন্তু কেউ উচ্চারণ করেন না।’