নয়াদিল্লি: অভিনেতা সলমন খান এবং মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিধায়ক, প্রয়াত বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকিকে খুনের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এবার নয়ডা থেকে গ্রেফতার এক তরুণ। ২০ বছর বয়সি ওই তরুণকে নয়ডার সেক্টর ৩৯ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সলমন এবং জিশানকে খুনের হুমকি এবং মোটা টাকা দাবি করায় অভিযুক্ত ওই তরুণ। মুম্বই পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়েছে। (Salman Khan)
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত তরুণের নাম মহম্মদ তয়াব ওরফে গুলফন খান। আপাতত হেফাজতে নেওয়া হয়েছে তাকে। ট্রানজিট রিম্যান্ডে মুম্বই নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হয় তাকে। গত ২৫ অক্টোবর সলমন এবং জিশানকে খুনের হুমকি দিয়ে ওই তরুণ ফোন করে এবং মোটা টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। (Death Threats to Salman Khan)
জিশানের বাবা, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি কয়েক সপ্তাহ আগে খুন হন। জিশানের অফিসের বাইরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। বাবা সিদ্দিকিকে খুনের দায় স্বীকার করে জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের বিশ্নোই গ্য়াং। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় বিশ্নোইদের আরাধ্য হরিণ খুন করাতেই সলমন তার নিশানায় বলে আগেই জানিয়েছিল লরেন্স।
বাবা সিদ্দিকি এবং তাঁর পরিবার সলমনের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। বাবা সিদ্দিকিকে খুনের পর সলমন ঘনিষ্ঠ অন্যদেরও হুমকি দেয় বিশ্নোই গ্যাং। খুনের হুমকি পান মহারাষ্ট্রের বিধায়ক জিশানও। সেই নিয়ে তদন্ত চলছিল। তাতেই নয়ডার তরুণ ধরা পড়ল পুলিশের জালে। শুক্রবার জিশানের দফতরের তরফেই থানায় অভিযোগ জানানো হয়। টাকা না দিলে দু'জনকেই শেষ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি এসেছিল। বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
লাগাতার প্রাণহানির হুমকি পেয়ে আসছেন সলমন, যার নেপথ্য়ে রয়েছে ১৯৯৮ সালে 'হম সাথ সাথ হ্যায়' ছবির শ্যুটিং চলাকালীন কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার ঘটনা। সলমনের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণটিকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। সেই নিয়ে মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি, সলমনের কাছ থেকে মোটা টাকাও দাবি করা হয়। সলমন নিজে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও, তাঁর বাবা সেলিম খান জানান, যে অপরাধ করেনইনি সলমন, তার জন্য ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। কিন্তু গুজরাতের সবরমতী জেল থেকে কী ভাবে গ্যাং চালাচ্ছে লরেন্স, জেল থেকে সে ভিডিওয় হুমকিবার্তা দেওয়া থেকে খবরের চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। এমনকি দেশের বাইরে বিশ্নোই গ্যাংয়ের কাজকর্ম নিয়ে সরব হয়েছে কানাডা সরকারও।