বেঞ্চ বলেছে, পিটিশনার চাভদা সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের আওতায় আদালতের এক্তিয়ারের প্রয়োগ চেয়েছেন, যা আইনি প্রক্রিয়ার অপব্যবহার বলে মনে হয়। বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও বিচারপতি অজয় রাস্তোগি।
বিচারপতিরা বলেছেন, পিটিশনারের দাবি, তিনি সমাজকর্মী। পিটিশনের সমর্থনে দেওয়া তাঁর হলফনামায় বলা হয়েছে, পিটিশনের বিষয়বস্তু তাঁর বিশ্বাস ও জ্ঞান মতে সত্য। কিন্তু এই বিষয়ের ওপর কোনও টেকনিক্যাল জ্ঞান ছাড়াই পিটিশনটি জমা দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবির উত্স কী, তা স্পষ্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়নি।
শীর্ষ আদালত বলেছে, পিটিশনারের কৌঁসুলির বক্তব্য শুনে তারা এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে, ৩২ অনুচ্ছেদের আওতায় ক্ষমতার প্রয়োগ চাওয়া জনস্বার্থে পেশ হওয়া পিটিশনের ক্ষেত্রে বৈধ পদ্ধতি নয়। তাই পিটিশন নাকচের পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক জরিমানা ঘোষণারও দরকার। আমরা পিটিশন বাতিল করে আবেদনকারীর ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিচ্ছি।
কোকাকোলা, থামস আপ বিক্রি, খাওয়া নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি পিটিশনে চাভদার আরও দাবি ছিল, সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মানুষকে এসব খেতে না করুক, কারণ এতে শরীরের ক্ষতি হয়। কোকাকোলা, থামস আপের মতো পানীয় বিক্রির লাইসেন্স ও তা খাওয়ায় সম্মতি দিয়ে বিজ্ঞানীদের কোনও বিশ্লেষণী রিপোর্ট থাকলে তা পেশ করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হোক।