কটক: বহুদিন ধরে জলের তলায় ডুবে থাকা এক মন্দির মাথা তুলল মহানদীতে। ওড়িশার নয়াগড় জেলায় ঘটেছে এই ঘটনা। এই মন্দিরটি প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো বলে মনে করা হচ্ছে।


ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজের পুরাতত্ত্ব বিষয়ক দল জানিয়েছে, কটক থেকে আসা মহানদীর ধারায় ডুবে থাকা ওই মন্দিরের খোঁজ পেয়েছে তারা। নয়াগড়ের কাছে পদ্মাবতী গ্রামের বৈদেশ্বরের কাছে মাঝ নদীতে দেখা যাচ্ছিল মন্দিরের চুড়ো। ৬০ ফুটের মন্দিরটিতে পূজিত হতেন গোপীনাথ, সম্ভবত তৈরি হয় ১৫ শতকের শেষ বা ১৬ শতকের শুরুতে। যে অঞ্চলে তা উদ্ধার হয়েছে তা সাতাপাতনা নামে খ্যাত, পদ্মাবতী গ্রাম এই সাতাপাতনা বা সাতটি গ্রামের অংশ ছিল।

উনিশ শতকে, ১৫০ বছর আগে নদী তার ধারা বদলায়, জলে ডুবে যায় গোটা গ্রাম।

পদ্মাবতী গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় ২২টির মত মন্দির ছিল, সব জলে ডুবে গিয়েছে। গোপীনাথ দেবের মন্দির ছিল সব থেকে দীর্ঘ, তার চুড়ো দেখা যেত কখনও কখনও। গ্রীষ্মে ভেসে উঠত এই চুড়ো, শেষ তার মাথা দেখা যায় ১১ বছর আগে। গত বছরেও জলস্তর নেমে যাওয়ায় ৪-৫ দিন তা দৃশ্যমান থাকে।

ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজের প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর অনিল ধীর বলেছেন, মহানদীতে ডুবে যাওয়া নানা স্থাপত্যের উদ্ধারে হাত দিয়েছেন তাঁরা। নদী থেকে সমুদ্র পর্যন্ত দু’পাড়ের ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ পর্যন্ত যত স্থাপত্য ডুবে গিয়েছে, তার তথ্য নথিবদ্ধ করা হচ্ছে।

নয়াগড়ের সাব কালেক্টর লগ্নজিৎ রাউত বলেছেন, ওই মন্দির দেখতে নদীতে না নামার জন্য গ্রামবাসীদের অনুরোধ করা হয়েছে।