গ্রেটার নয়ডায় যেমন ঘটল। সরকারি থেকে বেসরকারি, একটু চিকিৎসার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন এক বৃদ্ধ। অবশেষে এক বেসরকারি ক্লিনিকে ৮ তারিখ তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়। কিন্তু নমুনা দিয়েই সেক্টর ৮২-তে বাড়ি ফিরে আসতে বাধ্য হন তিনি কারণ চড়চড়ে রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না। পরদিন জানা যায়, তিনি করোনা পজিটিভ। এর পরদিনই তাঁর মৃত্যু হয় বলে তাঁর ছেলে জানিয়েছেন। যেহেতু রিপোর্ট আসেনি, তাই কেউ বলতে পারছিলেন না, দেহ নিয়ে কী করতে হবে। করোনা হওয়ার আশঙ্কা থাকায় কেউ সাহায্য করতে চাইছিলেন না।
মৃত্যুর প্রায় ১১ ঘণ্টা পর ডাক্তারদের হাতে পায়ে ধরে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আসে নমুনা পরীক্ষার ফল। সাড়ে সাতটার সময় দেওয়া হয় একটি বডি ব্যাগ, বলা হয়, দেহ নিজেদের প্যাক করে নিতে। কেউ সাহায্য করতে না চাওয়ায় মৃতের পুত্র ও পুত্রবধূ পিপিই পরে নিজেরাই দেহ প্যাক করেন, পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শুধু অ্যাম্বুলেন্স চালক। রাত ১১টায় হয় ওই ব্যক্তির শেষকৃত্য।
গৌতম বুদ্ধ নগরের চিফ মেডিক্যাল অফিসার দীপক ওহরি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করা হবে। যে হাসপাতালে ওই বৃদ্ধের নমুনা পরীক্ষা হয়, সেই সারদা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, আইসিএমআর গাইডলাইন মেনে যা করার করেছে তারা, রোগী নিজের দায়িত্বেই হোম কোয়ারান্টাইনে গিয়েছিলেন।