নয়াদিল্লি: ফের অশান্ত মণিপুর (Manipur Violence)। গতকাল, মঙ্গলবার রাতে গুলি চলে। তাতেই মৃত্যু হয় ৯ জনের। সূত্রের খবর , কাংপোকপি এবং ইম্ফল পূর্ব জেলার সীমানায় আইজেজাং গ্রামে গতকাল রাতে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গুলিবৃষ্টিতে আহত হয়েছেন ১০ জন। 


মণিপুরের বাসিন্দাদের বড় অংশই মেইতেই জনগোষ্ঠীর। তাঁরা মূলত ইম্ফল ও লাগোয়া সমতল এলাকায় বাস করেন। পাহাড়ি এলাকায় থকেন কুকিরা। মেইতেইরা জনজাতি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় তাঁরা পাহাড়ি এলাকায় জমি কিনতে পারেন না। কিন্তু কুকিরা সমতল এলাকায় জমি কিনতে পারেন। এবার মেইতেই জনগোষ্ঠী তফসিলি জনজাতিভুক্ত হয়ে গেলে তাঁরাও পাহাড়ি এলাকায় জমি কিনতে পারবেন, সেটাই কুকিদের অসন্তোষের কারণ। কুকিদের দাবি, এন বীরেন সিংহের সরকার তাঁদের ক্রমশ কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। শুধু মেইতেইদের তফসিলি জনজাতিভুক্ত হওয়ার দাবির বিরোধিতা নয়। আরও একটি কারণে চড়েছে ক্ষোভের পারদ। মণিপুরের পাহাড়ি এলাকায় কুকি জনগোষ্ঠীদের বাস। সেই পাহাড়ি এলাকায় সংরক্ষিত অরণ্য থেকে কুকি জনগোষ্ঠীভুক্ত বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তার জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আর সেটা নিয়েই চড়েছে ক্ষোভের পারদ। একাধিকবার বিক্ষোভও দেখানো হয়েছে।                      


ফের অশান্ত মণিপুর: হিংসায় জর্জরিত মণিপুরে এখনও কমেনি অশান্তির আঁচ। বহু মৃত্যু হয়েছে, ঘরছাড়া বহু। গতকাল রাতে ফের নতুন করে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। ইম্ফল পূর্বের পুলিশ সুপারকে শিবকান্ত সিংহ জানিয়েছেন, "গতকাল রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ইতিমধ্যেই ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।'' সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বে রয়েছে অসম রাইফেলস। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রসঙ্গত হিংসার ঘটনায় মণিপুরের যে বাসিন্দারা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন তাঁদের জন্য ইতিমধ্যেই স্পেশাল প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। মোট ১০১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।                                                                     


আরও পড়ুন: Food Tips: পাতে কোন পেয়ারা? কাঁচা না কি পাকা? কোনটায় বেশি উপকার?