নয়াদিল্লি :  এলোপাথাড়ি গুলি, পুড়ছে একের পর এক বাড়ি ! কান পাতলেই মানুষের আর্তনাদ আর হামলাকারীদের পৈশাচিক উল্লাস! মণিপুরের ভয়ঙ্কর (Manipur Violence) দৃশ্য গোটা দেশের বুক কাঁপিয়ে দিচ্ছে। এরইমধ্য়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) এক ভিডিও মাথা হেঁট করে দিল গোটা উপমহাদেশকে। নারী নির্যাতনের এমন ঘৃণ্য চিত্র দেখে গা শিউরে উঠেছে প্রত্যেকের । সেই সঙ্গে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। প্রায় ৩ মাস পর চরম সমালোচনার মুখে নীরবতা ভেঙেছেন নরেন্দ্র মোদি। দেশজুড়ে দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি উঠেছে। কিন্তু সত্যিই মানুষ কী চাইছে। প্রাণদণ্ড চাইছে কত শতাংশ মানুষ। সমীক্ষা চালিয়েছিল এবিপি এবং সি-ভোটার ( C Voter ) ।  এই সমীক্ষায় প্রতিফলন মানুষ এই ধরনের ঘটনায় কতটা ক্ষুব্ধ। 


মণিপুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের কি ফাঁসি দেওয়া উচিত? এই প্রশ্ন নিয়ে সি ভোটার পৌঁছে গিয়েছিল আমজনতার কাছে। সমীক্ষার ফল বলছে,  ৮৭ শতাংশ মানুষ উত্তরে হ্যাঁ বলেছেন।  তাঁরা বিশ্বাস করেন,  এই লজ্জাজনক ঘটনার জন্য অভিযুক্তদের ফাঁসি হওয়া উচিত। চরম শাস্তি পাক মণিপুরের নারী নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীরা। 
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩ শতাংশ মানুষ মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে মতপ্রকাশ করেননি। অন্যদিকে, ১০ শতাংশ মানুষ উত্তর দিয়েছেন, তাঁরা জানেন না, আসামিদের ফাঁসি দেওয়া উচিত কি না। 


মণিপুরে নারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের দায়ে অভিযুক্তদের কি ফাঁসি দেওয়া উচিত?
উৎস- সি ভোটার
হ্যাঁ- ৮৭%
না-৩%
জানি না-১০% 

এই সমীক্ষায় ২ হাজার ৬৬৪ জনের মতামত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই সমীক্ষা করা হয়েছে। এই সমীক্ষায় ত্রুটির মার্জিন প্লাস মাইনাস ৩ থেকে প্লাস মাইনাস ৫ শতাংশ। 

গত ৩ মাস ধরেই হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুর। এই ঘটনা যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতা। গণধর্ষণের পর দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর অভিযোগে উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও ঘিরে গোটা দেশ হয়েছে তোলপাড়। ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর নড়েচড়ে বসে সে-রাজ্যের পুলিশ - প্রশাসন। ঘটনার আড়াই মাস পর গ্রেফতার হয় মূল অভিযুক্ত। ভিডিও দেখেই শনাক্ত করা হয় তাকে। 

পুলিশের দাবি, চলতি বছরের ৪ মে মণিপুরের থৌবল জেলায় এই ঘটনা ঘটে। ভিডিয়োয় অভিযুক্তদের দেখা গেলেও, এতদিন কেন সক্রিয় হয়নি পুলিশ? সারা দেশ জুড়ে এখন সবথেকে জোরালো এই প্রশ্নটাই। মণিপুরের ঘটনায় কড়া অবস্থান নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চরম অসন্তোষপ্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সরকার ব্যবস্থা না নিলে, স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করা হবে বলে সেদিনই হুঁশিয়ারি দেয় সর্বোচ্চ আদালত। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial