কলকাতা: মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে আর কোনওদিন দেশের জার্সি গায়ে ২২ গজে দেখা যাবে কিনা, ক্রিকেট মহলে কিছুদিন ধরে এই জল্পনা চলছে। ধোনির নেতৃত্বে সাম্প্রতিক  ক্রিকেট ইতিহাসে সীমিত ওভারের ম্যাচে দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছে ভারত। একমাত্র অধিনায়ক যিনি তিনটি শীর্ষ আইসিসি ট্রফি এনে দিয়েছেন দেশকে। ধোনির এই ঈর্ষা করার মতো ট্র্যাক রেকর্ডের পিছনে কারণ হয়তো একটাই। তাঁর হিমশীতল মস্তিষ্ক। উইকেটের পিছনে থেকে বোলার-ফিল্ডারদের পরিচালনা করা বা ব্যাট হাতে বিপক্ষের বোলারদের মোকাবিলা- একেবার পুরো গেমপ্ল্যানটা যেন ছকে রাখা থাকত তাঁর  মাথায়। খাদের কিনারা থেকে বহুবার ভারত খেলায় ফিরে ম্যাচ পকেটে পুরেছে তাঁর ঠান্ডা মাথার সৌজন্যে। ম্যাচ জিতে বা হেরে সমান নির্বিকার থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু  অনুরাগী, ভক্ত দর্শককূলের কাছে তাঁর এই চেনা  ছবির বাইরে আছে আরেকটা ছবি যেটা সামনাসামনি দেখেছেন তাঁকে মাঠে খুব কাছ থেকে দেখা সতীর্থরা। তাঁদেরই একজন পেসার মহম্মদ সামি, আরেকজন প্রাক্তন অলরাউন্ডার ইরফান  পঠান ক্যাপ্টেন কুলকে কখনও কখনও মেজাজ হারাতে দেখার ঘটনা তুলে ধরেছেন সম্প্রতি। এবার ভারতীয় দলের আরেক প্রাক্তন, ওপেনার গৌতম গম্ভীর দুএকটি ঘটনার উল্লেখ করলেন যখন ধোনিকে মাথা গরম করতে  দেখা গিয়েছিল।


ধোনির সঙ্গে ড্রেসিং রুম শেয়ার করা গম্ভীর ২০০৭ এর টি-২০ বিশ্বকাপ, আইপিএলে শান্ত ধোনির সংযমের বাঁধ ভেঙে যেতে দেখেছেন বলে জানালেন। ২০০৭ এর সেই টুর্নামেন্টে, ২০১১র আইসিসি বিশ্বকাপে ধোনির দলের স্টার পারফর্মার ছিলেন তিনি, বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। আইপিএল কলকাতা নাইট রাইডার্স, চেন্নাই সুপার কিংসের দ্বৈরথ হলেই মুখোমুখি হতেন দুজনে। সেই গম্ভীর বলেছেন, লোকে বলে কখনও ধোনি মেজাজ হারাতে দেখেনি। কিন্তু আমি দেখেছি কয়েকবার। ২০০৭ এর বিশ্বকাপে, অন্য বিশ্বকাপে যখন আমরা ভাল করিনি তখন। ও তো মানুষ, প্রতিক্রিয়া, রাগ হওয়া স্বাভাবিক। সম্পূর্ণ ন্যায়সঙ্গত। সিএসকে-তেও কেউ মিসফিল্ড করলে বা ক্যাচ ফেললে রেগে যেত। তবে এটা ঠিক, ওর মাথা ঠান্ডা, সম্ভবত বাকি অধিনায়কদের তুলনায় অনেক শীতল মস্তিষ্কের  লোক। আমার থেকে তো ঠান্ডা বটেই!