হাসপাতাল থেকেই ছাত্রদের পড়াচ্ছেন লাদাখের করোনা আক্রান্ত অঙ্কের স্যার

করোনাভাইরাসের উপদ্রব যেভাবে বেড়েই চলেছে, তাতে নিজের টেস্ট করিয়ে নেওয়াই উচিত বলে ভেবেছিলেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের অঙ্কের শিক্ষক কিফায়ত হুসেন। কারণ, বেশ কিছু সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর গ্রাম কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষিত হয়েছিল। তাই, স্কুল খুললে ছাত্রদের যাতে কোনও ঝুঁকি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে করোনা টেস্ট করিয়েছিলেন হুসেন। কিন্তু ঘুণাক্ষরেও মনে ঠাঁই পায়নি যে, পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসবে।

লাদাখ: করোনাভাইরাসের উপদ্রব যেভাবে বেড়েই চলেছে, তাতে নিজের টেস্ট করিয়ে নেওয়াই উচিত বলে ভেবেছিলেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের অঙ্কের শিক্ষক কিফায়ত হুসেন। কারণ, বেশ কিছু সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর গ্রাম কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষিত হয়েছিল। তাই, স্কুল খুললে ছাত্রদের যাতে কোনও ঝুঁকি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে করোনা টেস্ট করিয়েছিলেন হুসেন। কিন্তু ঘুণাক্ষরেও মনে ঠাঁই পায়নি যে, পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসবে।
কিন্তু করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে হুসেনের। তা বলে পড়ানো বন্ধ নেই। হাসপাতাস থেকেই অনলাইনে পড়ুয়াদের পড়াচ্ছেন তিনি। লে-র ল্যামডন মডেল সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের ফেসবুক পোস্টে এমনটাই জানানো হয়েছে। আর হাসপাতালে থেকে পড়ানোর কাজ চালিয়ে যেতে হুসেন তাঁর পড়ানোর ভিডিও রেকর্ড করে আপলোড করেছেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জাানিয়েছে, তাঁর এই পরিকল্পনায় সাগ্রহে সম্মতি জানান কেন্দ্রীয় শাসিত প্রসাসনের কমিশনার সেক্রেটারি আইএএস রিগজিন স্যামফেল। আর হুসেন যাতে পড়াতে পারেন সেজন্য ল্যামডেন কর্তৃপক্ষ সেখানেই হাসপাতাল রুমেই টিজিং সেটআপের ব্যবস্থা করেন।
হুসেন বলেছেন, পড়ানো আমার চাকরিই শুধু নয়, আবেগও। আমার আশঙ্কা ছিল যে, পড়ুয়ারা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়বে। এরপর তাড়াহুড়োর মধ্যে পাঠক্রম শেষ করতে গিয়ে ওদের ওপর বোঝা বাড়বে। আমার পড়ানোর মতো শক্তি রয়েছে। তাই ভাবলাম, একবার চেষ্টা করেই দেখি।