হায়দরাবাদ : ভয়াবহতার রেশ কাটতে না কাটতেই গতকাল ফের ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠেছে তুরস্ক (Turkey)। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বহু প্রাণহানি হয়েছে। জখমের সংখ্যাও প্রচুর। সবকিছু হারিয়ে সর্বস্বান্ত অবস্থা হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ভূমিকম্পে ধ্বংসপুরী পার্শ্ববর্তী সিরিয়াও। এই পরিস্থিতিতে ভারতেও বড়সড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা। আশঙ্কা প্রকাশ করল ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট। হিমালয় রিজিওনে হতে পারে ভূমিকম্প, যার প্রভাব পড়বে উত্তরাখণ্ড ও নেপালে। এমনই আশঙ্কার কথা শোনালেন NGRI-এর প্রধান বিজ্ঞানী পূর্ণচন্দ্র রাও। তবে, তাঁর সংযোজন, আবাসনের ভিত মজবুত হলে সম্পত্তিহানি ও প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো যাবে।

  



সংবাদ সংস্থাকে ANI-কে পূর্ণচন্দ্র রাও বলেন, "একাধিক প্লেট নিয়ে গড়ে উঠেছে ভূপৃষ্ঠ। যা ক্রমাগত গতিশীল। ফি বছর ৫ সেন্টিমিটার করে সরছে ইন্ডিয়ান প্লেট। যার জেরে হিমালয় বরাবর চাপ বাড়ছে। তার থেকে যে কোনও সময় বড়সড় ভূমিকম্প হতে পারে।"



তিনি জানান, উত্তরাখণ্ডে আমাদের  ১৮টি সিসমোগ্রাফ স্টেশনের একটি নেটওয়ার্ক রয়েছে। সেই অনুযায়ী, উত্তরাখণ্ড সহ হিমাচল এবং নেপালের পশ্চিম অংশের মধ্যে ফাঁক তৈরি হয়েছে। যে কোনও সময় ভূমিকম্পের প্রবণতা রয়েছে। রিখটার স্কেলে ৮ তীব্রতা-বিশিষ্ট ভূমিকম্প হতে পারে।


সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তুরস্কের ক্ষয়ক্ষতির কথা। তাতে NGRI-এর প্রধান বিজ্ঞানী বলেন, ওখানে এত ক্ষয়ক্ষতির কারণ, সেখানে ঘরবাড়িগুলো নিম্নমানের। ভূমিকম্প তো আমরা থামাতে পারব না। কিন্তু, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো যেতে পারে। এইসব ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় ঘরবাড়ি কীভাবে নির্মাণ করতে হবে তার গাইডলাইন রয়েছে ভারত সরকারের। বাড়িঘর তৈরির সময় তা মেনে চলা উচিত।