নয়াদিল্লি: বালুচিস্তানে ফের ট্রেনের উপর হামলা। আবারও হামলা হল জাফর এক্সপ্রেসেই। কোয়েট্টা থেকে পেশোয়ার যাওয়ার পথে বিস্ফোরণ ঘটে ট্রেনটিতে। এখনও পর্যন্ত একটি বিস্ফোরণের খবর সামনে এলেও, পর পর তীব্র শব্দ শোনা গিয়েছে বলে খবর। বালুচিস্তান ও সিন্ধ সীমানায় ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের জেরে ট্রেনের বেশ কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে। উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে সেখানে। (Balochistan Train Blast)
মঙ্গসবার সুলতান কট থেকে কোয়েট্টা যাচ্ছিল জাফর এক্সপ্রেস। সেই সময় তীব্র শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। IED-র মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর ধারণা পুলিশের। রেললাইনে বিস্ফোরক রাখা ছিল বলে জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ট্রেনের ছয়টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে। ট্রেনে যাত্রীরা সওয়ার ছিলেন। এখনও পর্যন্ত হতাহত সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য় সামনে আসেনি। তবে অনেকে আহত হয়েছেন। (Jaffar Express Blast)
এদিনের হামলার দায় স্বীকার করেছে বালুচিস্তানের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন বালুচিস্তান রিপাবলিকান গার্ডস। রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। শিকারপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, সুলতান কট গ্রামের কাছে বিস্ফোরণ ঘটে। ট্রেনের কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে যেমন, লাইনের বড় অংশও উড়ে গিয়েছে বিস্ফোরণে।
হামলার দায় স্বীকার করে বালুচিস্তান রিপাবলিকান গার্ডস জানিয়েছে, পাকিস্তান সেনার কর্মী এবং আধিকারিকরা ট্রেনে সওয়ার ছিলেন। তাঁদের নিশানা করতেই এই হামলা চালানো হয়। বিবৃতি জারি করে বলে, 'পাকিস্তানি সেনা ট্রেনে সওয়ার ছিল। তাই ওই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। অনেক সৈনিক মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। ট্রেনের ছয়টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। বালুচিস্তান রিপাবলিকান গার্ডস হামলার দায় নিচ্ছে এবং ঘোষণা করছে, বালুচিস্তান স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত এমন হামলা চলবে'।
ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে পুলিশ, সেনা। উদ্ধারকার্য শুরু হয়ে গিয়েছে। বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেলেও, কারও প্রাণহানি হয়েছে বলে পাকিস্তান সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি এখনও পর্যন্ত। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে বালুচিস্তানে পর পর নাশকতার ঘটনা ঘটছে। এর আগে, বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি জাফর এক্সপ্রেসই হাইজ্যাক করে। ২০২৩ সালেও দু’দু’বার হামলা হয় জাফর এক্সপ্রেসে। ২০১৬ সালেও জাফর এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ ঘটায় বালোচ লিবারেশন আর্মি। সেবার ছ’জন মারা যান। আহত হন ১৯ জন।