নয়াদিল্লি : সপ্তাহের প্রথমদিনই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড রাজধানীতে। দিল্লি এইমসে (AIIMS ) ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। আগুন নেভাতে লড়াই  চালাচ্ছে দমকলের ৮টি ইঞ্জিন। 

কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। সূত্রের খবর, বেলা ১১:৫৪ নাগাদ আগুন লাগে। হাসপাতালের এন্ডোস্কোপি বিভাগে আগুন চোখে পড়ে। হাসপাতাল চত্বরে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে ভয় ছড়িয়ে পড়ে। এখনও পর্যন্ত প্রাণহানি বা আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, আগুন লাগার জন্য কিছুক্ষণ বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের জরুরি পরিষেবা ।


শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, রোগীদের বের করে আনার চেষ্টা চালানো হয়েছে । রোগীদের মধ্যে কেউই ক্ষতিগ্রস্ত হননি বলেই জানা গিয়েছে। খেয়াল রাখা হচ্ছে ভিতরে  যাতে কেউ আটকে না পড়েন। গলগল করে বেরিয়ে আসা ধোঁয়া দেখে আতঙ্ক ছড়িয়েছে রোগীদের মধ্য়ে।  প্রাথমিকভাবে অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে।  


AIIMS সূত্রে খবর, হাসপাতালের ভূগর্ভস্থ ট্যাঙ্কের জলও আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। হাসপাতালের এক প্রবীণ চিকিৎসক জানান, "অগ্নিকাণ্ডের সময়, দুজন রোগীর এন্ডোস্কোপি  চলছিল। এই দুই রোগীকে নিরাপদে বের করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালে অপেক্ষমাণ ৯০ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে" তবে, কতজন রোগীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে কোনও সরকারি পরিসংখ্যান জানা যায়নি।  


হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,  আইসিইউতে থাকা  ৬ জন সহ আরও ৩০ জন রোগীকে এবি ২ ওয়ার্ড থেকে স্থানান্তর করা হয়েছে। ডাক্তার, নার্সিং স্টাফ এবং গার্ডরা ধোঁয়া বের করে দেওয়ার জন্য তড়িঘড়ি দোতলার জানালার কয়েকটি কাচ ভেঙে ফেলে। 


এলাকাটি ধোঁয়ায় ভরে যাওয়ায়  এক তলার শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জরুরি ওয়ার্ডের সমস্ত রোগীদেরও সরিয়ে নেওয়া হয়। রোগীদের মধ্যে কয়েকজনকে কাছের সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সূত্রের খবর, দো-তলার অর্থোপেডিক অপারেশন থিয়েটারে তখনও কাজ চলছিল এবং সেখান থেকেও রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয়।  


 






আরও পড়ুন : ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষের হাত থেকে বর্ধমানকে রক্ষা করেছিলেন শিব, পড়ুন ১০৮ শিবমন্দিরের মাহাত্ম্য আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন https://t.me/abpanandaofficial