লখনউ: উত্তরপ্রদেশের বারসানা রোডের ঈদগায় হনুমান চালিশা পাঠ, জয় শ্রী রাম স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার সৌরভ, রাঘব মিত্তল, কানহা ও কৃষ্ণ ঠাকুর নামে চার যুবক। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় শান্তিভঙ্গের চেষ্টার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। মথুরার এসএসপি গৌরব গ্রোভার জানিয়েছেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, কেউ কোনও বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করলেই আইন অনুসারে পদক্ষেপ করা হবে তার বিরুদ্ধে। প্রশাসন মন্দির নগরীর শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সচেষ্ট বলে জানান তিনি। জেলাশাসক এস আর মিশ্রএও কেউ এলাকার সামাজিক সম্প্রীতি ভাঙার চেষ্টা করলে কঠোর পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে অভিযুক্তরা ঈদগায় হনুমান চালিশা পাঠের সিদ্ধান্তের সমর্থনে সাফাই দিয়েছে, নন্দবাবা মন্দিরে যা হয়েছে, তারা তার উল্টোটা করে সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষারই চেষ্টা করেছে। তাদের একজনের বক্তব্য, মুসলিম যুবকরা নন্দবাবা মন্দিরে নমাজ পড়ার পর তারাও ঠিক করে, ঈদগায় হনুমান চালিশ পাঠ করে, জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করবে।
গত ২৯ অক্টোবর দুই মুসলিম যুবক নন্দবাবা মন্দিরে নমাজ পড়ে। পুলিশ ফয়জল খান নামে একজনকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করে। ঘটনার ভিডিও থেকে শনাক্ত করে আরও তিনজনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ। তারা হল চাঁদ মহম্মদ, অলোক রতন ও নীলেশ গুপ্তা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ২৯৫ ও ৫০৫ অনুচ্ছেদে দায়ের হওয়া এফআইআর অনুসারে অভিযুক্ত চারজনই খুদাই খিদমতগার নামে একটি সংগঠনের সদস্য, ২৯ অক্টোবর তারা মন্দির শহর সফর করে। নন্দবাবা মন্দিরের পুরোহিতদের একজন বলেন, অভিযুক্তরা তাঁকে ব্রিজ চৌরাসি কোষ পরিক্রমা করছে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু বিনা অনুমতিতেই ফয়সল ও চাঁদ মহম্মদ ওখানে নমাজ পড়ে।