তেহরান: Morality Police-র মারধর (beating) নয়, অসুস্থতার (illness) কারণেই মারা গিয়েছিলেন মাহসা আমিনি (Mahsa Amini), দাবি ইরান (Iran) সরকারের। ২২ বছরের ওই তরুণীর রহস্যমৃত্যুর পর প্রায় গোটা দুনিয়ায় (world) তোলপাড় পড়ে যায়। মহিলাদের পোশাক-পরিচ্ছদের (dress) উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েমের মাধ্যমে ইরান প্রশাসন কী ভাবে তাঁদের ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে, তার প্রতিবাদে তুমুল শোরগোল শুরু হয় সে দেশে, এমনকী বাইরেও। যদিও অনেকের ধারণা সংবাদসংস্থা এএফপি এদিন যে খবর দিয়েছে, তা সত্যি হলে মাহসা-র মৃত্যুর দায় স্রেফ ঝেড়ে ফেলে দিতে চাইছে ইরান সরকার। 


কী দাবি তেহরানের?
সংবাদসংস্থা এএফপি ইরানের ফরেনসিক অর্গানাইজেশন-কে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ' মাথা, জরুরি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং হাত-পায়ে আঘাত লেগে মাহসা আমিনি মারা যাননি। আট বছর বয়সে তাঁর মস্তিষ্কে টিউমারের যে অপারেশন হয়েছিল, তার মধ্যেই এই মৃত্যুর কারণ লুকিয়ে রয়েছে।' পুলিশ অবশ্য ইরানি-কুর্দিশ তরুণীর মৃত্যুর পর পরই আচমকা হার্ট অ্যাটাকের ব্যাখ্যা দিয়েছিল। মাহসা-র পরিবার সেই ব্যাখ্যা মানতে চায়নি। তাঁর বাবা বলেছিলেন, মেয়ের পায়ে ক্ষত দেখেছেন। পুলিশ স্টেশনে যে ওই তরুণীর উপর প্রাণঘাতী জুলুম করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তাঁরা। ২২ বছরের তরতাজা প্রাণের এমন হঠাৎ মৃত্যুতে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে ইরানে। দেশের একাধিক শহরে মহিলারা প্রতিবাদ মিছিল শুরু করেন। মাহসা-র সমর্থনে কেউ প্রকাশ্যে চুল কেটে ফেলেন, কেউ আবার হিজাব জ্বালিয়ে দেন। পাল্টা দমনের রাস্তা নেয় ইরান সরকার। বিক্ষোভকারী, সংশোধনবাদী আন্দোলকারী, সাংবাদিক-সহ ১৯০০ জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যমের। অসলো-র এক মানবাধিকার সংস্থা জানায়, এই দমনের জেরে ১৫৪ জন প্রাণ হারান। 


কী ঘটেছিল?
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি ওই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছিল। মাহসা-র পরিবারের দাবি, নিয়ম মেনে হিজাবে মাথা ঢেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ২২ বছরের তরুণী। কিন্তু সেটি আলগা করে জড়িয়ে রাখা হয়েছে বলে মনে হয়েছিল Morality Police-র। তাই গাড়ি থেকে বের করে রাস্তার উপরই গ্রেফতার করা হয় মাহসাকে। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁর। বরং তিনদিনের মাথায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়। পরিবাররে অভিযোগ ছিল, পুলিশি হেফাজতে নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে তরুণীকে যা মানেনি প্রশাসন। তার পর থেকেই বিক্ষোভের আগুন দিকে দিকে।


আরও পড়ুন:শনিবার কার্নিভাল, SSC চাকরিপ্রার্থীদের গাঁধীমূর্তির তলায় ধর্নায় না বসার 'নির্দেশ' পুলিশের