Meerut Case: শয়তানের ছবি, তন্ত্রসাধনার প্রতীক; কালাজাদুতে আচ্ছন্ন ছিলেন মিরাট খুনে অভিযুক্ত প্রেমিক; একাধিক রোমহর্ষক তথ্য সামনে

Saurabh Rajput Killing Case : অপরাধ করার পর অভিযুক্ত তথা সৌরভের স্ত্রী মুসকান রাস্তোগি ও তাঁর প্রেমিক তথা সাহিল শুক্লা শিমলায় ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছিলেন। 

Continues below advertisement

মিরাট : মিরাটের ঘটনায় রোমহর্ষক তথ্য সামনে আনল পুলিশ। ১০ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে প্রাক্তন মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতকে। তাঁক টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁর স্ত্রী এবং স্ত্রীর প্রেমিক তাঁকে ছিন্নভিন্ন করে। সিমেন্টিং করা ড্রামে সিল করার আগে প্রাথমিকভাবে সৌরভের দেহ বাথরুমে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। অপরাধ করার পর অভিযুক্ত তথা সৌরভের স্ত্রী মুসকান রাস্তোগি ও তাঁর প্রেমিক তথা সাহিল শুক্লা শিমলায় ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছিলেন। 

Continues below advertisement

মিরাট শহরের এসপি আয়ূশ বিক্রম সিংহ আরও রোমহর্ষক তথ্য সামনে এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সাহিল শুক্লার ঘর ডেভিলের গ্রাফিতি, তান্ত্রিক প্রতীক এবং শয়তানের আঁকা ছবি দিয়ে ভরা ছিল, যা কালো জাদুর প্রতি তাঁর গভীর আচ্ছন্নতার ইঙ্গিত দেয়। মনে করা হচ্ছে যে, সাহিল অত্যন্ত কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিলেন এবং মুসকান তাঁকে কারসাজি করে কাজে লাগিয়েছিলেন। মুসকান তাঁর ভাইয়ের ফোন ব্যবহার করে ভুয়া স্ন্যাপচ্যাট অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছিলেন। সাহিলকে এটা বোঝাতে যে তাঁর মৃত মা পরলোক থেকে তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন এবং কাউকে মৃত চান। এরপর সহজ টার্গেট হিসাবে সৌরভকে সাহিলের কাছে তুলে ধরেন মুসকান।

এসপি আরও জানিয়েছেন যে, সাহিলের সঙ্গে মুসকানের সম্পর্কের কথা সৌরভ ২০২১ সালেই জেনে গিয়েছিলেন। আপত্তিজনক অবস্থায় মুসকান ও সাহিলকে দেখে ফেলেছিলেন তাঁদের ল্যান্ডলর্ড। সেকথা তিনি সৌরভকে জানিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি ভগবান শিবের ছবি দেওয়ালে প্লাস্টার করা ছিল। বিয়ারের বোতল, বিড়ি এবং অন্যান্য সাম্গ্রীও পাওয়া যায়। মুসকান দাবি করেছেন যে, সৌরভের অ্যাকাউন্টে ৬ লক্ষ টাকা ছিল। সেই টাকা বাজেয়াপ্ত হতে পারে, এই ভয়ে তাঁর (মুসকানের) অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল। তাঁর মায়ের অ্যাকাউন্টেও দেড় লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছিল। যদিও সেই দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অফিসার।

মুসকান ও সাহিল শিমলা থেকে ফেরার পরই খুনের ঘটনাটি সামনে আসে। তাঁদের ল্যান্ডলর্ড বাড়ি ফাঁকা করানোর জন্য লোক পাঠান। যখন তাঁরা ভারী ড্রামের কথা জানতে চান, মুসকান দাবি করেন, বাপেরবাড়ি যাওয়ার আগে এটা নোংরায় ভর্তি ছিল। যদি দুর্গন্ধ ছড়ানোয় মজুরদের সন্দেহ হয়। তাঁরা পুলিশকে জানান। এরপর মুসকান তাঁর মায়ের কাছে সত্যিটা স্বীকার করে নেন। তখন তিনি পুলিশকে ঘটনাটি জানান।

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola