কলকাতা: মেঘালয়ে গিয়ে যখন তাঁরা দুজনেই একসঙ্গে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন, তখন সবাই আশঙ্কা করেছিলেন, নিশ্চয়ই কোনও বিপদ ঘটেছে নবদম্পতির। তবে এরপরে যখন রাজা রঘুবংশীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়, তখনই মোড় ঘুরে যায় ঘটনার। সোমবার রাজা রঘুবংশীন নববিবাহিত স্ত্রী সোনম রঘুবংশীকে তাঁর স্বামীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, স্বামীকে হত্যার ছক কষেই নাকি হানিমুনে গিয়েছিলেন সোনম। রীতিমতো সুপারি কিলার দিয়েই নাকি স্বামীকে খুন করিয়েছেন সোনম। সোমবার পুলিশের তরফ থেকে প্রকাশ্যে আনা হয় সবটা। সোনম ছাড়াও, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, ধৃতদের ৭ দিনের জন্য ট্রানজিট রিম্যান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

রাজা রঘুবংশীর মৃতদেহ উদ্ধারের পরে সোমবার ভোরে উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুর থানায় আত্মসমর্পণ করেন সোনম। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে আকাশ রাজপুত, বিশাল সিং চৌহান ও রাজ সিং কুশওয়াহাকে ৭ দিনের জন্য ট্রানজিট রিম্যান্ডে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আজ বিচারকের সামনে এই ৩ জনকে হাজির করা হয়েছিল ও শিলং পুলিশ তাদের ৭ দিনের জন্য ট্রানজিট রিম্যান্ডে নিয়েছে। এই ঘটনা চতুর্থ অভিযুক্ত আনন্দকে বিনা থেকে ইনদওরে আনা হচ্ছে। আপাতত এই ৪ জনকেই শিলং পুলিশের হেফাজতে রাখা হবে। এই ঘটনায় রাজ সিং কুশওয়াহাকে সোনমের প্রেমিক বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও পুলিশের তরফ থেকে এখনও তা নিশ্চিত করা যায়নি।

মেঘালয়ে রাজার দেহ মিললেও নিখোঁজ ছিলেন সোনম। রাজার দেহ মিললেও তার পরণে থাকা সোনার আংটি ও সোনার চেন পাওয়া যায়নি। সেগুলো লুঠ হয়ে গিয়েছে কি না জানা যায়নি। ১৬ দিন নিখোঁজ থাকার পর রবিবার রাত ১টা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের গাজি়পুরের একটি ধাবায় দেখা যায় সোনমকে। ধাবা মালিক সাহিল যাদবের দাবি, রাত ১টা নাগাদ কাঁদতে কাঁদতে তাঁর ধাবায় আসেন সোনম। পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চান জানিয়ে দাবা মালিকের ফোনটি চান। পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয় সোনমের। তাঁর ভাই ইনদওর পুলিশকে বিষয়টি জানান। অন্যদিকে ধাবা মালিকও খবর দেন থানায়। পুলিশ সূত্রে খবর, থানায় নিয়ে যাওয়া হলে আত্মসমর্পণ করেন সোনম।

পুলিশ মনে করছে, এই ঘটনায় ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে সোনমের যোগ রয়েছে। তবে কী করে এই যোগাযোগ হল তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ।