আবারও শিরোনামে মেট্রোরেল। মেট্রোরেলে খাবার দাবার নিয়ে ওঠা বারণ। অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় বহনের তো প্রশ্নই ওঠে না। সেই সব নিয়ম কানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে  মেট্রোয় উঠে পড়লেন এক যুবক। সঙ্গে ডিম সেদ্ধ আর মদ ! সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে যাওয়া এক ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে,এক যুবক মেট্রোর ভেতরে পানীয় সহযোগে দিয়ে সেদ্ধ ডিম খেতে দেখা যাচ্ছে। নেটিজেনদের দাবি , সেটি 'অ্যালকোহল' ছিল। দেখেও তেমনটাই মনে হচ্ছে।  ভিডিওটি দেখে মেট্রোযাত্রীদের তো ভিরমি খাওয়ার জোগাড়। কেউ কেউ সিঁটিয়ে যাচ্ছেন ভয়ে। এ কী ! মেট্রোর কামরায় এসব কী ! কোথায় নিরাপত্তারক্ষীরা। নেটিজেনরা অবাক , দিল্লি মেট্রোতে এত কঠোরতা থাকা সত্ত্বেও কেউ কীভাবে এভাবে নিয়ম লঙ্ঘন করতে পারে।

মেট্রোযাত্রীরা সকলেই জানেন, দিল্লি মেট্রোতে সর্বদা সিআরপিএফ মোতায়েন থাকে।  প্রতিটি কোচে আছে সিসিটিভি ক্যামেরা।  এছাড়াও, পুলিশ কর্মীরা মাঝে মাঝেই যাত্রীদের উপর নজর রাখেন। তা সত্ত্বেও, এই ধরনের ভিডিও প্রকাশের ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

দিল্লি মেট্রোকে দেশের সবচেয়ে সংগঠিত গণপরিবহন পরিষেবাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে প্রতিটি স্টেশনে নিয়মিত নিয়মকানুন খুব স্পষ্ট করে লেখাও রয়েছে।  বিশেষ করে মেট্রো স্টেশন ও কামরায় খাওয়া-দাওয়া, আবর্জনা ফেলা এবং মদ্যপান নিষিদ্ধ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও, কিছু যাত্রী আইনকে ভয় পান না বা সামাজিক শৃঙ্খলা মানেন না। এই ভাইরাল ভিডিও সামনে আসতে এমনটাই ধারণা। 

এই ভাইরাল ভিডিও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এরকম ঘটনা ঘটলে যাত্রীরা আতঙ্কিত হবেন মেট্রোসফর করতে।ই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। বর্তমানে এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তাদের প্রতিক্রিয়ায় তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। একজন  লিখেছেন, "মনে হচ্ছে তারাই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি চাপে আছে", আবার আরেকজন লিখেছেন, "এটা দেখলে বাবা-মা এবং আত্মীয়স্বজনদের কেমন লাগবে ! এদের বোঝানো উচিত যে ছোট বাচ্চারাও ভ্রমণ করে।" 

দিল্লি মেট্রো কর্তৃপক্ষ বা পুলিশের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি, তবে এই বিষয়টি আবারও মেট্রোর নিরাপত্তা এবং যাত্রীদের দায়িত্ব নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

(ABP Ananda এই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি )

অনেক নেটিজেন ধরে নিয়েছিলেন যে লোকটি পাবলিক ট্রান্সপোর্টে প্রকাশ্যে মদ্যপানই করছিলেন ওই যুবক, কিন্তু পরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পষ্ট করে বলেন যে প্রশ্নবিদ্ধ পানীয়টি আসলে "অ্যাপি ফিজ"। "অ্যাপি ফিজ হ্যায়, বন্ধুরা," তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করে বিষয়টি পরিষ্কার করে দেন।