কলকাতা: এবার পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের দুই লোকসভা সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীকে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাঁদের নিরাপত্তা দেবে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী (সিআরপিএফ)।


উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর অধিকারী পরিবারের মেজো সন্তান শুভেন্দু অধিকারীকে দেওয়া হয়েছিল জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা।


উল্লেখ্য, শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারী। এরপর কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীও বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেননি। তবে তাঁর অবস্থান নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব সন্তুষ্ট নয়। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা নেতৃত্ব দলের রাজ্য নেতৃত্বকে সুপারিশ করেছে বলে খবর।


কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। খাতায়কলমে এখনও তৃণমূলের সাংসদ।  এবার তাঁদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পান শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর,এবার শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীকে দেওয়া হচ্ছে ওয়াই প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তা।প্রত্যেক সাংসদের সঙ্গে সিআরপিএফের ১১ জন করে রক্ষী থাকবেন।ইতিমধ্যে সিআরপিএফ-কে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর। 


১৯শে ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন কাঁথির অধিকারী বাড়ির মেজ ছেলে শুভেন্দু অধিকারী। এরপর থেকে ধীরে ধীরে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হয়। মার্চ মাসে অমিত শাহের সভায় দেখা যায় শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীকে। 


খাতায় কলমে তৃণমূলের সাংসদ হলেও, দীর্ঘদিন ধরে দলের কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি দিব্যেন্দুকেও। যা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে সুপারিশও করেছে জেলা নেতৃত্ব।


এই প্রেক্ষাপটে অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বর্তমানে সরব হয়েছে বিজেপি। যার পর সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। এই প্রেক্ষাপটে এবার দুই সাংসদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে জোর আলোচনা জেলা রাজনীতিতে।