নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে সংশয়ের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের বড়সড় ঘোষণা। মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত এই ঘোষণায় উপকৃত হতে চলেছেন প্রায় দেড় কোটি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী। 
করোনাভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত কঠিন পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মীদের স্বস্তি দিতে কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক দেড়ে কোটিরও বেশি কর্মীর পরিবর্তনযোগ্য মহার্ঘ ভাতা (ভিডিএ) বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য প্রতি মাসে ডিএ বেড়েছে মাসে প্রায় দ্বিগুণ। ভিডিএ মাসে ১০৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২১০ টাকা।  মুখ্য শ্রম কমিশনার কেন্দ্র (সিএলসি) ডিপিএস নেগি এ কথা জানিয়েছেন। ডিএ-তে এই বৃদ্ধি  চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। কেন্দ্র সরকারি ঠিকা ও অস্থায়ী কর্মীদের ক্ষেত্রে এই ভিডিএ বৃদ্ধির কারণে তাঁদের ন্যুনতম পারিশ্রমিকের হার বেড়ে যাবে। 
কেন্দ্রীয় স্তরের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রের জন্য এই বৃদ্ধি এবং তা রেল,খনি, তৈল ক্ষেত্র, বড় বন্দরের মতো কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ও কেন্দ্র সরকারের পর্ষদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই হার ঠিকা ও অস্থায়ী কর্মী ও শ্রমিকদের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। 
সংবাদসংস্থার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নেগি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সংস্থায় কর্মীদের জন্য ডিএ প্রতি মাসে ১০৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১০ টাকা।এক বিবৃতিতে শ্রমমন্ত্রক জানিয়েছে, এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে এবং সংশোধিত ভিডিএ চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হবে। 


উল্লেখ্য চাষের জন্য ব্যবহৃত সার ডিএপি-র মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে কেন্দ্র ভর্তুকি বাড়িয়েছে কয়েকদিন আগে। সরকার জানিয়েছিল, বিশ্ববাজারে দামের বৃদ্ধি সত্ত্বেও কৃষকরা ডিএপি সার প্রতি ব্যাগ ২৪০০ টাকার পরিবর্তে ১২০০ টাকায় কিনতে পারবেন। সরকার জানায়, ডায় অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি)-তে ভর্তুকি ১৪০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।কেন্দ্রের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  সারের দাম সংক্রান্ত বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জোরের সঙ্গে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লেও কৃষকরা যাতে পুরানো দামেই সার কিনতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে।বিবৃতিতে বলা হয়, ডিএপি সারে ভর্তুকি প্রতি বস্তায় ৫০০ টাকা থেকে ১৪০ শতাংস বাড়িয়ে ১২০০ টাকা করার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বৈঠকে নেওয়া হয়েছে। এরফলে ডিএপি-র দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লেও তা  পুরানো দামেই অর্থাৎ বস্তা পিছু ১২০০ টাকাতেই বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির বোঝা সরকারে নিজের কাঁধে বহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত বছর ডিএপি-র প্রকৃত দাম বস্তা পিছু ১৭০০ টাকা ছিল। সরকার এক্ষেত্রে বস্তাপিছু ৫০০ টাকা ভর্তুকি দিয়ে আসছিল। এ কারণেই কোম্পানিগুলি কৃষকদের কাছে ডিএপি প্রতি বস্তা ১২০০ টাকা দামে কৃষকদের কাছে বিক্রয় করতে পারছিল। সম্প্রতি ডিএপি-তে ব্যবহৃত ফস্ফোরিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়া ইত্যাদির আন্তর্জাতিক মূল্য ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।