নয়াদিল্লি: Zee মিডিয়াগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে একটি মামলায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের (Information and Broadcasting Ministry) একটি যুগান্তকারী নির্দেশে আশার আলো দেখছে তুলনামূলক ক্ষুদ্র সংবাদ সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলি (small broadcasting organizations)। GSAT-15 উপগ্রহের মাধ্যমে'কু ব্যান্ডে'একযোগে দশ-দশটি চ্যানেল 'আপলিঙ্ক' (uplink) করার অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে এই নির্দেশে। এরই ফলে আশার আলো দেখছে সংবাদ সম্প্রচার জগতের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অপেক্ষাকৃত ছোট সংস্থাগুলি। তাদের আশা, এর পর অন্তত কিছু রাজ্যে সমানে সমানে টক্কর দেওয়ার জায়গা পাবে তারা।


একনজরে নির্দেশের খুঁটিনাটি...
এই নির্দেশের ফলে বাড়তি 'স্লট ফি'না দিলে ডিডি ফ্রি ডিশ, প্রসার ভারতীর মাধ্যমে এই চ্যানেলগুলি দেখা যাবে না। কেন্দ্রীয়  তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সিদ্ধান্তে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ,পঞ্জাব, রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে এবার অসম প্রতিযোগিতার হাত থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে সংবাদ সম্প্রচারের কাজে থাকা ছোট সংস্থাগুলি, আশা অনেকের। Zee Hindustan, Zee Rajasthan, Zee Punjab Haryana Himachal, Zee Bihar Jharkhand, Zee Madhya Pradesh Chhattisgarh, Zee Uttar Pradesh Uttarakhand, Zee Salam, Zee 24 Kalak, Zee 24 Taas and Zee Odisha (যেটি এই মুহূর্তে Zee Delhi NCR Haryana)--চ্যানেগুলিকে ২০১৯ সালের অক্টোবরে ডিশ টিভি মিডিয়া থেকে 'আপলিঙ্ক' করার অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু পরে দেখা যায়, যেহেতু 'ডিশ টিভি' এবং 'ডিডি ফ্রি ডিশ'-র 'ট্রান্সপন্ডার' (সঙ্কেত গ্রহণ ও পাঠানোর যন্ত্র) একই উপগ্রহে রয়েছে, ফলে এই সবকটি চ্যানেলই 'ডিডি ফ্রি ডিশ'-এও দেখা যাচ্ছে। এবং এর জন্য কোনও 'স্লট ফি'দিতে হচ্ছে না সম্প্রচার সংস্থাটিকে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিযোগী সংস্থাগুলি একাধিকবার TRAI এবং চ্যানেলের রেটিং নির্ধারক সংস্থা BARC INDIA-কে অভিযোগ জানায়। তাদের বক্তব্য ছিল, এর ফলে Zee মিডিয়াগোষ্ঠী অন্যায় ভাবে বাড়তি সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। 


কী ভাবে বাড়তি সুবিধা?
এখনও পর্যন্ত যা অনুমান তাতে ডিডি ফ্রি ডিশের গ্রাহকসংখ্যা ৪ কোটিরও বেশি যা কিনা দেশের মোট টিভি ব্যবহারকারী পরিবারের প্রায় এক চতুর্থাংশ। অর্থাৎ ডিডি ফ্রি ডিশ-এ  যদি কোনও চ্যানেল দেখা যায়, তার দর্শকদের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছতে পারে। তাছাড়া ডিটিএইচ পরিষেবার কোন জায়গায় কোন চ্যানেল দেখা যাবে,তার উপর পাবলিক ব্রডকাস্টারের আয়ের অন্যতম অংশ নির্ভর করে। এখান থেকেই বিতর্কের শুরু। একাধিক নোটিস এবং আইনি লড়াইয়ের পর শেষমেশ ২৩ সেপ্টেম্বর ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। এটিকে নিজেদের জয় হিসেবেই দেখছে সম্প্রচার জগতের সঙ্গে থাকা অপেক্ষাকৃত ছোট সংস্থাগুলি। স্লট ফি না দিয়ে যে ভাবে এত দিন ওই গোষ্ঠী দর্শকদের বড় অংশের কাছে পৌঁছে যাচ্ছিল, সেই অসম প্রতিযোগিতা থেকে এবার মুক্তি মিলবে। আশায় তারা।