সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: গত বছরের পর এবারও পুজোয় (durga puja) বৃষ্টির (rain) আশঙ্কা। উত্তরের পাশাপাশি ভিজবে কলকাতা-সহ (kolkata) দক্ষিণবঙ্গও (south bengal)। তবে কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানাল আবহাওয়া দফতর।
কেমন থাকবে আবহাওয়া?
সোমবার থেকে সূচনা হল দেবীপক্ষের। আর সেইদিনই, পুজোয় বৃষ্টির অশনি সঙ্কেত দিল আবহাওয়া দফতর। সোমবার আবহাওয়া দফতরের তরফে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, পয়লা অক্টোবর, ষষ্ঠীর দিনই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত। তার জেরে সপ্তমী অর্থাৎ ২ অক্টোবর থেকে কলকাতা ও উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি বাড়বে। দশমী পর্যন্ত বৃষ্টি থামার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফর। এতেই শেষ নয়। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিনগুলোতেও বজ্র-বিদ্যুত্ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, 'পুজোর আগে যাঁরা পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছেন বা পুজোর মধ্যে পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করেছেন, তাঁদের পরিকল্পনাতেও বাধ সাধতে পারে বৃষ্টি।' এদিকে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের কয়েক জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তারপর, পরিমাণ কিছুটা কমলেও, নবমী-দশমীতে ফের বাড়তে পারে বৃষ্টি।গত দু’বছর, করোনার জেরে পুজোয় সেভাবে আনন্দ করতে পারেনি কলকাতাবাসী। এবার কি সেই আনন্দে ব্যাঘাত ঘটাবে বৃষ্টি? প্রমাদ গুনছেন অনেকেই।
পুজোয় কলকাতা...
এদিকে পুজোর মুখে বৃষ্টির পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। গত বৃহস্পতিবার যে পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছিল, তাতে দেখা যায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার পার করে গিয়েছে। সে দিন পর্যন্ত গত ১ সপ্তাহে শুধু হাওড়াতেই ৫১৬জন ডেঙ্গি আক্রান্ত। কলকাতায় একই মেয়াদে ৪৬৭জন ডেঙ্গি আক্রান্ত। উত্তর কলকাতার তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় উদ্বেগজনক ডেঙ্গি পরিস্থিতি। পুরসভার পরিসংখ্যান বলছে ফাঁকা জমি থেকে নর্দমা, কুয়ো...মশার বংশবিস্তারের জন্য সেফ জোন বলে যা পরিচিত, তার আধিক্য উত্তরের তুলনায় দক্ষিণে ঢের বেশি। পুরসভার আশা, নগরায়ণ যেভাবে বাড়ছে, তাতে দক্ষিণ কলকাতার এই ছবি দ্রুত পাল্টে যাবে। উদ্বেগের ছবি উত্তর ২৪ পরগনাতেও। তবে সেখানকার বনগাঁ স্টেশন চত্বরে আবর্জনা পরিষ্কার নিয়ে এর মধ্যেই দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে। পুরসভার দাবি, বারবার বিষয়টি রেলের নজরে আনলেও কোনও লাভ হয়নি। বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে রেল, মন্তব্য পুরসভার চেয়ারম্যানের। মিথ্যে অভিযোগ বলে, পাল্টা দাবি করেছে বিজেপি। এনিয়ে, প্রতিক্রিয়া মেলেনি রেলের তরফে।