নয়াদিল্লি: বাংলাদেশে (Bangladesh) চলতি বছরে হিন্দুদের ওপর হিংসার ২,২০০টি ঘটনা হয়েছে। বেশির ভাগই ঘটেছে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে। শুক্রবার লোকসভায় এমনটাই জানালেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিংহ। 


বাংলাদেশে হিন্দু-নিপীড়ন: অশান্ত বাংলাদেশে এখনও আক্রান্ত হচ্ছে হিন্দুরা। প্রতিদিনই সামনে আসছে কোনও না কোনও ঘটনা। এই প্রেক্ষাপটে একবারে সংসদে দাঁড়িয়ে শিউড়ে ওঠার মতো তথ্য় দিল মোদি সরকার। একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং জানিয়েছেন, এবছর ৮ ডিসেম্বর অবধি, বাংলাদেশে হিনদু-সহ সংখ্য়ালঘুদের ওপর হামলার ২ হাজার ২০০টি ঘটনা ঘটেছে। পদ্মাপাড়ে হিনদুদের ওপর হামলা নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু, এবারের পরিস্থিতি কতটা মারাত্মক, সেটা পরিষ্কার হয়ে যায়, গত কয়েকবছরের পরিসংখ্য়ান পাশাপাশি রাখলেই।


বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর লিখিত উত্তরেই দেখা গেছে, ২০২২-এ বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্য়ালঘুদের ওপর হামলা ঘটনা ঘটেছিল ৪৭টি। ২০২৩-এ ৩০২টি। এবার ৮ ডিসেম্বর অবধি সেই সংখ্য়া পৌঁছে গেছে ২ হাজার ২০০-তে। বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য় অনুযায়ী, হিনদু-সহ সংখ্য়ালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার নিরিখে পাকিস্তানকেও ছাপিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এবছর অক্টোবর অবধি পাকিস্তানে সংখ্য়ালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ১১২টি। আর বাংলাদেশে ৮ ডিসেম্বর অবধি সেই সংখ্য়াটা ২ হাজার ২০০।

অনেকে বলছেন, এই ছবিই বলে দিচ্ছে, বাংলাদেশে কী নৈরাজ্য় চলছে! পদ্মাপাড়ের দেশে আইনশৃঙ্খলার এখন কী হাল! এর মধ্য়ে ইউনূস সরকারের একের পর এক সিদ্ধান্তে পরিস্থিতি শুধরোনোর আশা আরও ক্ষীণ হচ্ছে। উল্টে আশঙ্কা বাড়িয়ে ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ট্রাকবোঝাই অস্ত্র পাচারের মামলায় মৃত্যুদণ্ড মকুব করা হয়েছে তৎকালীন খালেদা জিয়া সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর-সহ ৬ জনের। ২০ বছর পর বুধবারই ছাড়া পেয়েছে ছয় অভিযুক্ত। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে ১০টি ট্রাকবোঝাই অস্ত্র আটক করা হয়। বাজেয়াপ্ত হয় ৪ হাজার ৯৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৭ হাজার গ্রেনেড, ৮৪০টি রকেট লঞ্চার, ৩০০টি রকেট, প্রায় ১০ লক্ষ বুলেট-সহ বহু অস্ত্র।

ওই ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের অধীনে মামলা হয়। জড়িত থাকার অভিযোগে নাম জড়ায় ১৪ জনের। অভিযুক্তদের মধ্যে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ছাড়াও ছিলেন প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী ও জামাত-এ-ইসলামির আমির মতিউর রহমান নিজামী এবং ২ টি গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষকর্তাও। তদন্তে উঠে আসে অস্ত্রগুলি মূলত ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চালানোর জন্য পাচার করা হচ্ছিল। ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা আদালত ১৪ জনকেই মৃত্যুদণ্ড দেয়। কিন্তু, এবার সেই মামলাতেই অপরাধীদের সাজা কমাল হাইকোর্ট। লুৎফুজ্জামান বাবরের পাশাপাশি ৬ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ৬ জনের সাজা কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি সংগঠন আলফা-র সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়ার ফাঁসির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হয়েছে। যা ভারতের পক্ষে অত্য়ন্ত উদ্বেগের।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Bangladesh: ভারত বিরোধী পোস্ট করে পার পাবে না বাংলাদেশ, কড়া প্রতিবাদ কেন্দ্রের তরফে; কোন বিষয়ে?