নয়াদিল্লি : করোনার টিকা নিলে হয় না কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। কোভিডের টিকা নিলে বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কার যে দাবি করা হয়েছে, তা একেবারেই ভুয়ো ও ভিত্তিহীন। ভ্যাকসিন নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। পাশাপাশি সাফ জানিয়ে দেওয়া হল অন্ত্বঃসত্ত্বা মহিলাদেরও ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বিধি নিষেধ নেই।


ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের অধিকর্তা চিকিৎসক বলরাম ভার্গব সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হয়ে জানিয়েছেন, 'কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা রয়েছে অন্ত্বঃসত্ত্বা মহিলাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই। বরং দ্রুত তাদেরও ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ করা দরকার।' পাশাপাশি খণ্ডন করা হয়েছে ভ্যাকসিন নিয়ে বন্ধ্যাত্বের শিকার হওয়ার ভুয়ো দাবি। যে প্রসঙ্গে দেশে যখন পোলিও টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তখনও অনেকেই ভুয়ো তথ্য দিয়ে টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাতে চেয়েছিল বলেই মনে করিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


ন্যাশনাল টেকনিক্যাল গ্রুপ অন ইমিউনিজেশন ইন ইন্ডিয়া (এনটিএজিআই)-র চেয়ারম্যান এনকে অরোরা বলেছেন, 'ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যখন পোলিও টিকাকরণ শুরু হয়েছিল তখনও এই ধরণের ভুয়ো তথ্য রটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শিশুদের পোলিও টিকা দিলে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব চলে আসতে পারে, এমন গুজব রটিয়ে দিয়েছিল ভ্যাকসিন বিরোধী লবি। বিস্তর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই মানবদেহে প্রয়োগের ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়.। আর পরিস্কার বলতে চাই কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। তাই গুজব, ভুয়ো-ভিত্তিহীন দাবিতে কান দিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে কঠিন করে তুলবেন না।'


দ্রুত সবার ভ্যাকসিনেশনই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একমাত্র অস্ত্র বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমনিতেই দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব স্থিমিত হলেও আশঙ্কা প্রকট হচ্ছে দ্রুত তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়া নিয়ে। চিকিৎসকমহলের পক্ষ থেকে তাই বারবার বলা হচ্ছে দ্রুত টিকাকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করাই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিরুদ্ধে অন্যতম রাস্তা। পাশাপাশি টিকা নেওয়ার পরও যাবতীয় কোভিড বিধি নিষেধ মেনে চলা।