মুম্বই :  মুম্বইয়ের মীরা রোডের  ঘটনায় এখনও চাপা উত্তেজনা। ২১ তারিখ রামমন্দির উদ্বোধন-পূর্ব উদযাপন মিছিল ঘিরে অশান্তির পর মঙ্গলবারই সেখানকার 'অবৈধ' দোকান ঘরগুলি গুঁড়িয়ে দেয় প্রশাসন। তারপরই এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। নতুন করে যাতে কোনও শান্তি মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য কড়া হয়েছে পুলিশ।  সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপের অ্যাডমিনদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সংঘর্ষের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও জোকস, ভিডিও বা অন্যান্য ধরনের পোস্ট ফরোয়ার্ড করা না হয়। এএনআই সূত্রে খবর, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। পুলিশের কড়া বিবৃতি, আদেশ অমান্য করলে গ্রুপ অ্যাডমিনদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে । মীরা ভাইন্দর ভাসাই ভিরার (এমবিভিভি) পুলিশের (Mira Bhayander Vasai Virar Police.) তরফে বুধবার এই নির্দেশ জারি হয়েছে।

  


ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় (খুনের চেষ্টা)হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একটি অপরাধ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে মুম্বইয়ের মীরা রোডে তিনটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়ে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল র‌্যালি বের করে। ২২ জানুয়ারি ছিল অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন। ওই এলাকায় গিয়ে জয়শ্রীরাম স্লোগান তোলা হয়।  র‌্যালি চলাকালীন ফাটানো হয় আতশবাজিও।  অন্য একটি পক্ষ এতে আপত্তি জানায়। তার অনতিপরেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে  জানায়, ২১ তারিখ রাতে একটি দল রামের জয়ধ্বনি তুলে মিছিল করে, তারা বাজিও ফাটায়। আরেক দল তখন এগিয়ে এসে তার বিরোধিতা করে। আপত্তি থেকে বাদানুবাদ শুরু হয়। তারপর দ্বিতীয় দলটি কাঠের লাঠি নিয়ে বেরিয়ে আসে। কথাকাটাকাটি থেকে শুরু হয়ে যায় বড় রকমের অশান্তি। শুরু হয় গাড়ি ভাঙচুর। ওই পুলিশ আধিকারিক আরও জানান, যানবাহনে যাতায়াত করা লোকজনকেও মারধর করা হয়।  আইনশৃঙ্খলার অবনতি এড়াতে এলাকায় দ্রুত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়।


অন্যদিকে, এই ঘটনার ঠিক দু-দিন পর মীরা ভাইন্দার মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন মঙ্গলবার থানে জেলার নয়ানগর এলাকায় রাস্তার পাশের "অবৈধ" দোকানপাটে বুলডোজার চালায়, ঠির যেখানে রামমন্সূদির উদ্বোধনের মিছিলে হামলার অভিযোগ ওঠে। সূত্রের খবর, এই গুঁড়িয়ে দেওয়া স্টলগুলির মধ্যে একটি ছিল এক বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তির।  তিনি রাস্তায় কাবাব পাও বিক্রি করে দু-বেলা দু-মুঠো খেতেন । তাঁর দাবি, তিনি তাঁর লাইসেন্স রিনিউ করিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁর দোকান "অবৈধ" বলে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।  
 
২১ তারিখের অশান্তির পর ২৩ তারিখে বুলডোজার চালানোর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছেন। এর মধ্যে কোনওরকম উস্কানি বারুদে ফুলকির মতো কাজ করতে পারে। তাই পুলিশের তরফ থেকে কড়া নির্দেশিকা।